পঞ্চগড়ে শিশুকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ৪ বছরের শিশুকে চকলেট দিয়ে দোকানের ভিতরে নিয়ে শারীরিক শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন মোঃ হায়দার আলী (৫৫) নামের এক বৃদ্ধ।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের সর্দার পাড়া এলাকায় ধর্ষকের মুদি দোকানের ভিতরে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক হায়দার আলী ওই এলাকার মৃত নছেতুল্লা ছেলে।

সরজমিন ও স্থানীয় তথ্য সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রংমিস্ত্রি মোঃ আজিজ (৩৮) তিনি সকালে তার মেয়ের সাথে সময় দিয়ে কাজে বেরিয়ে যান। সকাল ১১টার দিকে তার বাড়ির সাথে ধর্ষক হায়দার আলীর দোকান সেখানে শিশুটি খেলাধুলা করছিল এমন সময় ধর্ষক তাকে দেখতে পেয়ে চকলেট দেওয়ার উদ্দেশ্য করে দোকানের ভিতরের নিয়ে শীলতাহানী ও ধর্ষণের চেষ্ঠা করলে শিশুটি চিৎকার করে কান্নাকাটি করে পরবর্তীতে তার মা বাড়ি থেকে বের হয়ে শিশুটিকে উদ্ধার।

সে সময় তার মা ওই বৃদ্ধ ধর্ষককে চরথাপ্পর মারে। এদিকে ঘটনার পর এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। রাতে তার স্বামী বাড়ি আসলে ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার সকাল ১০টার সময় পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করলে ডাঃ মাসুদ রানা নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেন।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ধর্ষক ইতিপূর্বে ওই এলাকায় এ ধরণের অনেক ঘটনার সাথে সে জড়িত কিন্তু কোন প্রকার বিচার হয় নাই। এসময় ভুক্তভুগির বাবা আজিজ বলেন, আমার মাসুম মেয়ের সাথে এমন জঘন্য ঘটনার জন্য আমি ঐ নরপশুর আইনগত ভাবে বিচার চাই।

এদিকে এ ঘটনায় শিশুটিকে তার বাবা আজিজ সোমবার সকালে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করার কথা শুনলে ধর্ষক হায়দার আলী বিষ খাওয়ার অভিনয় করে সদর হাসপাতালে তিনিও ভর্তি হন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মাসুদ রানা জানান, সীমিত আকারে হায়দার নামের ব্যাক্তির মূখে বিষের পয়জন পাওয়া গেছে। তবে তিনি সম্পুর্ন আশংক্ষা মুক্ত। শিশু ধর্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেলে তিনি বলেন আমরা বিষয়টি পুলিশ ফাইল আকারে শিশুটিকে ভর্তি করেছি।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, থানায় অভিযোগ হলে এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত হায়দার আলীকে আইনের আওতায় আনা হবে।