পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দুই দিনেও বশির হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক বশির হাওলাদার (৩২) হত্যাকান্ডের ৪০ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

এ ঘটনায় বুধবার সন্ধায় নিহতের পিতা জব্বার হাওলাদার বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় অজ্ঞাতনামা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

তবে ক্লুলেস এ হত্যাকান্ড সংঘটিত এলাকা থেতে নিহতের পরিধেয় গায়ের চাঁদর ও তার ব্যবহৃত একটি টর্চ লাইট এবং একটি পায়ের জুতা উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে স্বামীর এমন নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় শোকে কাতর বশিরের স্ত্রী অসুস্থাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত বশির ও তার স্ত্রী শিরিনা আক্তার সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই বোন ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার চাকামইয়া ইউপির বেতমোর গ্রামে অজ্ঞাত এক মুখোশধারীর ছুরিকাঘাতে বশিরের মৃত্যু হয়।

নিহতের নিজ বাড়ির সামনে একটি ধান ক্ষেত থেকে স্থানীয়রা মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

ওইদিন রাতে হাসপাতালে স্বামীর মৃতদেহের সামনেই আহাজারী করে বশিরের স্ত্রী শিরিনা আক্তার জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। এসময় মুখোশধারী অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে তার স্বামীকে খুঁজতে থাকেন। স্বামীকে খুঁজতে থাকার কারণ জানতে চাইলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় ওই মুখোশধারী।
শিরিনার ভাষ্যমতে এর কিছু সময়ের মধ্যেই তার স্বামী বশির নির্মাণ শ্রমিকের কাজ শেষ করে বাড়িতে ফেরেন এবং তাকে খুঁজতে আসার ঘটনা জানতে পারেন।

শিরিনা আরো জানান, ঘরে অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রবেশের কথা শুনে ওই সময়েই বশির তাকে খুঁজতে বেরিয়ে পরেন। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধান ক্ষেতে পাওয়া যায়।

এদিকে শিরিনার পিতা হারুন প্যাদা অভিযোগ করে বলেন, তার জামাতা বশির হাওলাদারের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আপন চাচা এবং ভাইয়ের সাথে গত এক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত বছর আষাঢ় মাসে বেতমোর এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মানের সময় বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধপূর্ন জমিতে বাড়ি নির্মান না করতে বশিরকে হত্যার হুমকি দেয়া হয় বলেও জানান তিনি।

এবিষয়ে কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মদ আলী জানান, এখনো পর্যন্ত এটি একটি ক্লুলেস হত্যাকান্ড। আমরা অনেকগুলো বিষয় মাথায় রেখে সামনের দিকে আগাচ্ছি। তবে নিহতরে স্ত্রী একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী অসুস্থ থাকায় আমরা অনেক বিষয় কাজ করতে পারছি না। আমাদের সব ধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করি খুনিকে চিহ্নিত করে আমরা আটক করতে পারবো।