পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফের মধ্যেই রয়েছে সমস্যার সমাধান

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য।সাইয়্যিদুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরুদ শরীফ ও সালাম।
পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়, প্রত্যেক নামাযের প্রত্যেক রাকাতে এ সম্মানিত পবিত্র সূরা শরীফ পাঠ করার বাধ্যবাধকতা দেখে।

একজন মানুষ দৈনিক ৫ ওয়াক্ত ফরয নামাযের ১৭ রাকাতে ১৭ বার, ৩ রাকাত ওয়াজিব নামাযে ৩বার এবং ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদ্দাহ নামাযে ১২ বার, মোট ৩২ বার কম করে হলেও একজন মুসলমান এ পবিত্র সূরা শরীফ দৈনিক পাঠ করে থাকে।

কিন্তু দুঃখের বিষয়, মুসলমানরা দৈনিক এতবার করে পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করলেও উক্ত পবিত্র সূরা শরীফে কি শিক্ষা আছে তা অনুধাবন করতে সামর্থ্য হয়নি।পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি দোয়া শিক্ষা দিচ্ছেন, বলছেন-মুসলমানরা যেন এভাবে দোয়া করে: “আয় আল্লাহ পাক! আমাদেরকে সরল পথ দিন এবং সে সমস্ত লোকের পথ দিন, যাঁদের আপনি নিয়ামত দান করেছেন”।

(পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫-৬)অন্যত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,“মহান আল্লাহ পাক তিনি নিয়ামত দান করেছেন- নবী, ছিদ্দীক্ব,শহীদ,ছলেহ উনাদেরকে।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৯)অর্থাৎ পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার ৫ ও ৬নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মর্মার্থ হচ্ছে- একজন মুসলমানকে সর্বদা হযরত নবী আলাইহিস সালাম,ছিদ্দীক্ব,শহীদ ও ছলেহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পথ চাইতে হবে এবং উনাদের দিক-নির্দেশনা অনুসারে চলতে।

কিন্তু বর্তমানে যেহেতু হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের পাওয়া যাবে না, তাই ছিদ্দীক্ব-শহীদ-সলেহ বা ওলী আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগন উনাদেরকে মান্য করাই হচ্ছে উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফের মর্মার্থ।এরপর পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার শেষ পবিত্র আয়াত (৭নং) শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি মুসলমানদের শিখিয়ে দিচ্ছেন, বলছেন- মুসলমানরা যেন এভাবে দোয়া করে-সে সমস্ত লোকের পথ দিবেন না, যারা গযবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত”। (পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)

মূলত এখানে গযবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত বলতে ইবলিস শয়তান, সমস্ত কুফরী শিরকে লিপ্ত, মুশরিক এবং বাতিল ৭২ ফিরকাকে বুঝানো হয়েছে।অর্থাৎ পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার মর্মার্থ হচ্ছে- মুসলমানগণ উনাদেরকে হক্কানী ওলীআল্লাহ উনাদের কাছে যেতে হবে এবং উনাদের দিক-নির্দেশনা অনুসারে চলতে হবে। এবং বিধর্মিদের মতে-পথে চলা যাবে না, তাদেরকে অনুসরণ করা যাবে না।অথচ দেখা যাচ্ছে, বর্তমান মুসলমানদের অবস্থা হচ্ছে ঠিক বিপরিত।

তারা সারাদিন শরীয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত মুশরিকদের মতে ও পথে চলে, তাদের অনুসরণ অনুকরণ করে, কিন্তু হক্কানী ওলীআল্লাহ উনাদের নিকট আসে না, উনাদের দিক-নির্দেশনা অনুসারে চলে না। আর এ কারণেই বর্তমান মুসলমান জাতির এ করুণ অবস্থা।

কিন্তু মুসলমানরা যদি সম্মানিত পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ অনুসারে আমল করতে পারতো, তবে নিশ্চিতভাবে মুসলমানদের সমস্ত বালা-মুছিবত দূর হয়ে যেতো এবং মুসলমানরা কামিয়াবী হাছিল করতো।অতএব যামানার ইমাম ও মুযতাহিদ রাজারবাগ শরীফের হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম উনার উসিলায় তা আমল করার তাওফিক দান করুন।