পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বেসরকারি ক্লিনিকে হালনাগাদের নজর নেই প্রশাসনের

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নিবন্ধন হালনাগাদ না থাকা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেনি স্বাস্থ্য প্রশাসন। উপজেলার এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধভাবে স্বাস্থ্যসেবার নামে বাণিজ্য চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগে, অভিযান চালালেও এবার রহস্যজনকভাবেই প্রশাসন রয়েছে নীরব।

জানা যায়, ভাঙ্গুড়া পৌর শহরে চারটি ক্লিনিক ও সাতটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। শরৎনগর বাজারের বড়াল ক্লিনিকে তিন বছর ধরে নিবন্ধন হালনাগাদ নেই। এছাড়া অন্যান্য ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিবন্ধনের হালনাগাদ নেই একাধিক বছর। অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এতে বড়াল নদে বর্জ্য ফেলে পানি দূষণের অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্র জানায়, ভাঙ্গুড়ায় অবস্থিত বেশিরভাগ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিবন্ধন পাওয়ার জন্য শর্তাবলী পূরণ নেই। এরপরও স্থানীয় ও সিভিল সার্জন অফিসকে ম্যানেজ করে নিবন্ধন বাগিয়ে নিয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠান।

হাসপাতাল সম্মুখেই সমতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বুধবার ও বৃহস্পতিবার গিয়ে কোনো টেকনোলজিস্ট পাওয়া যায়নি। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক উত্তম কুমার নিজেই একজন টেকনোলজিস্টের সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে পরীক্ষার ফলাফল দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে উত্তম কুমার বলেন, রোগী কম থাকায় সবসময় টেকনোলজিস্ট থাকেন না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, ভাঙ্গুড়াতে কোনো অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নেই। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন হালনাগাদ নেই। সিভিল সার্জন অফিসের নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের নিবন্ধনসহ যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন হালনাগাদ নেই। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পাবনা সিভিল সার্জন ডাক্তার দেওয়ান শহীদুল্লাহ বলেন, পাবনা জেলায় ২৪২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। সব ক্লিনিকের নিবন্ধন রয়েছে। যদিও অনেকের নিবন্ধনের হালনাগাদ নেই। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে সব ক্লিনিকে ভিজিট (পরিদর্শন) করা সম্ভব নয়। তাই সব ক্লিনিক মালিককে নির্দিষ্ট কিছু সময় দেওয়া হয়েছে নিবন্ধন হালনাগাদের জন্য। তাই অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।