শেষ ফাগুনে হঠাৎ ঘন কুয়াশা পাবনায়

পাবনা শহর এবং জেলা সদরের বাইরে গ্রামাঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সব জায়গায়ই দেখা মিলছে আবহাওয়ার ব্যতিক্রমী রূপ। দিনে গরম, রাতে শীত। এরকম বিরূপ আবহাওয়ায় অনেকেই কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তদের মাঝে শিশুদের সংখ্যাই বেশি।

পাবনা শহরের অদূরে রাজাপুরে মাহাতাব রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এর প্রকৌশলী দীপু বিশ্বাস জানান, শেষ রাত থেকে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সোমবার (১১ মার্চ) সকালে একটু দূরের বস্তুও সহজে দেখা যাচ্ছিল না।

নগরবাড়ী ঘাটের রঘুনাথপুর গ্রামের সোহেল মিয়া জানান, তাদের এলাকা নদীর পাড়ে হওয়ায় এখানে ঘণ কুয়াশার দাপট চলছে। রাতে বেশ ঠান্ডা পড়ছে। লেপ-কম্বল গায়ে দিতে হচ্ছে। অথচ কয়েকদিন আগে তারা রাতে বাড়িতে বৈদ্যুতিক পাখা চালিয়ে ঘুমিয়েছেন।

পাবনার বিভিন্ন উপজেলায় চলছে পেঁয়াজ তোলার কাজ। বিল গ্যারকা মাঠে কর্মরত বেশ কিছু চাষী জানান, তাদের এখন গরমে খালি গায়ে পেঁয়াজ তোলার কথা। অথচ শীতের কারণে সকালে তারা সোয়েটার আর মাফলার জড়িয়ে ক্ষেতে এসেছেন। সকালে ঘন কুয়াশায় পুরা মাঠ অন্ধকার হয়ে যায়।

পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন জানান, রোববার (১০ মার্চ) ও সোমবার (১১ মার্চ) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২-১ দিনের মধ্যে এ অবস্থা কেটে গিয়ে শীত বিদায় নেবে।