পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে জলাবদ্ধতা; চরম জনদূর্ভোগ

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সেবাগ্রহীতারা। তাদের দাবী দীর্ঘ দিনের জলাবদ্ধতার মিলছেনা প্রতিকার। ফলে উপজেলা পরিষদ চত্বর ঘিরে বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা পরিষদের মোট ৬টি প্রশাসনিক ভবন রয়েছে। এর মধ্যে মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ভবনের পিছনে ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ভবনের সামনের ফাঁকা জায়গায় ১-২ ফিট বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে মাসের পর মাস। সেখনেই ফেলা হয়েছে ব্যবহৃত ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের বিভিন্ন প্যাকেট। পাশেই উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের কিছ অংশ জলাবদ্ধ কিছু অংশ স্যাঁতসেঁতে। এই ভবনের পূর্ব পাশে রয়েছে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যাওয়ার বেহাল রাস্তা। রাস্তার দুই পাশে জমে আছে কাদাপানি। দীর্ঘদিন ধরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তপন কুমার সূত্রধর জানান, কার্যালয়ের সামনে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন না হওয়া ও ড্রেনেজ বাবস্থা না থাকায় ডেঙ্গু আতঙ্ক নিয়েই অফিস করছি। দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা হলে এই ডেঙ্গু আতঙ্ক থেকে বাঁচি। অনেকেই প্রকাশ্যে কথা না বলতে চাইলেও বিষয়টির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আগামীকালের মধ্যেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবো। আর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য খুব দ্রুত ড্রেনেজ বাবস্থা করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মাদ নাহিদ হাসান খান জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই উপজেলা পরিষদ চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করানো হয়েছে। স্থায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি না হওয়ায় একটুক বৃষ্টি হলেই উপজেলা পরিষদ চত্বরের কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় এমপি, মেয়র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে জলাবদ্ধতা জনিত সমস্যার স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।