পাবনায় আ.লীগ নেতা হত্যা ঘটনার প্রধান আসামী অস্ত্র, গুলিসহ গ্রেফতার

পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নাজিরপুরে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শামীম হোসেনকে (৪০) গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামী তারিকুল ইসলাম ওরফে নিলু খাঁকে (৬৯) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) সিপিসি-২ পাবনা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার কিশোর রায় এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার ফতে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে নিলু খাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিলু খাঁ পাবনা সদরের হেমায়েতুর ইউনিয়নের নাজিরপুর হাটপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হামিদ খাঁর ছেলে ও হেমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন।

র‌্যাব জানায়, ফতে মোহাম্মদপুর এলাকায় নিলু খাঁ অবস্থান করছেন-এ তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার দেওয়া তথ্য থেকে জেলা সদরের চরপ্রতাপপুর গ্রামে জনৈক ইন্তাজ আলী মালিথার বাড়ির সামনে একটি খড়ের পালার নিচ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ১১ রাউন্ড গুলি, ১টি মোবাইল ফোন, একটি সিমকার্ড ও নগদ ৩১০০ টাকা জব্দ করা হয়।
র‌্যাব আরো জানায়, গ্রেফতার নিলু খাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পাবনা সদর থানায় অস্ত্রসহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে একই মামলায় পুলিশ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোররাতে নিলু খার স্ত্রী মালেকা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার রাতে নিহত শামীমের বাবা নুর আলী বাদী হয়ে নিলু পরিবারের ১৬ সদস্যের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মধু নির্বাচনে হারের পর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নাজিরপুর হাটে একটি চায়ের দোকানে বসে আলোচনা করছিলেন।

এ সময় নিজ দলের পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী তারিকুল ইসলাম নিলু, তার ছেলে ইমরান হোসেনসহ কয়েকজন অতর্কিত তাদের ওপর হামলা চালায়। সেসময় মধুর নির্বাচনী এজেন্ট শামীম হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত শামীম স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তিনিও মেম্বার প্রার্থী ছিলেন।