পাবনায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ফাঁসির আসামী পিন্টু গ্রেফতার

মৃত্যুদন্ডাদেশের ৩বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার হলেন পাবনার ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু।

শনিবার (২৫ জুন) কক্সবাজারের টেকনাফে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলি ও বোমা হামলা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী তিনি।

পিন্টু ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পৌরসভা নির্বাচনে পিন্টু চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
জাকারিয়া পিন্টুর গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

মামলার বর্ণনায় র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ২৮ বছর আগে ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী এবং ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে বোমা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০১৯ সালে নয়জনকে মৃত্যুদন্ড দেন আদালত।

গ্রেফতার জাকারিয়া পিন্টু ওই মামলার একজন পলাতক আসামী ছিলেন। শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল।

আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত মোট ৪৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে ৯ জনের মৃত্যুদন্ড, ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন- পাবনার ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম আক্তারুজ্জামান (৬৪), ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু (৫৫), ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোখলেছুর রহমান বাবলু (৬১), পৌর যুবদলের সভাপতি মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল (৪৫), স্থানীয় বিএনপি নেতা রেজাউল করিম শাহীন (৫০), শহিদুল ইসলাম অটল (৪৫), আজিজুর রহমান শাহিন (৪৬), মাহবুবুর রহমান পলাশ (৫৪), শামসুল আলম (৫৫)। এদের মধ্যে জাকারিয়া পিন্টু পলাতক ছিলেন। অন্যরা কারাগারে।