পার্লামেন্টে পর্নো দেখার অভিযোগে ব্রিটিশ এমপি বরখাস্ত

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে নারী সহকর্মীদের পাশে বসে পর্নো দেখার অভিযোগে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন এক ব্রিটিশ সংসদ সদস্য (এমপি)। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হলেও এখনই পদত্যাগ করতে নারাজ নিল প্যারিশ নামে ওই নেতা। তার দাবি, তিনি ‘ভুল করে’ পর্নো ওয়েবসাইট খুলে থাকতে পারেন। খবর বিবিসির।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের দুই নারী এমপি অভিযোগ করেন, তারা নিল প্যারিশকে হাউজ অব কমনসে (ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) তাদের পাশে বসে মোবাইলে পর্নো দেখতে দেখেছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয় প্যারিশকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনার ক্যাথরিন স্টোন।

তদন্তে যদি দেখা যায়, প্যারিশ এমপিদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তাহলে কমন্সের কাছে ক্ষমা চাওয়া থেকে সাময়িক বরখাস্ত বা বহিষ্কার হওয়ার মতো কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে পারেন।

ব্রিটিশ এই এমপি বলেছেন, তিনি তদন্তে পূর্ণ সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং এর ফলাফল আসার জন্য অপেক্ষা করবেন। প্যারিশ বিবিসি’কে বলেন, এটি অবশ্যই বিব্রতকর। এটি আমার স্ত্রী ও পরিবারের জন্যেও বিব্রতকর এবং এই মুহূর্তে সেটাই আমার প্রধান চিন্তার বিষয়। আমার স্ত্রী খুবই সহায়ক এবং এর জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।

পার্লামেন্টে পর্নো দেখা ভুল ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করবো। এরপরও ভুল করে কোনো কিছু চালু করেছিলেন কি না প্রশ্ন করলে প্যারিশ বলেন, করেছিলাম, কিন্তু সেটি তদন্তকারীদের দেখতে দেন।

যুক্তরাজ্যের এমপি ও পরিবেশ নির্বাচন কমিটির প্রধান প্যারিশ বলেছেন, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। দল থেকে বরখাস্ত হওয়া এ নেতা জানান, পার্লামেন্টে পর্নো দেখার খবরে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি তিনি বুঝতে পারছেন এবং তার জন্য ক্ষমা চান।

৬৫ বছর বয়সী এ নেতা ২০১০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য। স্ত্রীর পাশাপাশি তার দুই সন্তান ও দুই নাতি-নাতনি রয়েছে। প্যারিশ ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট প্রস্তাব এবং ডেভিড ক্যামেরনের সরকারের সময় সমলিঙ্গ বিয়ের বৈধতাদানের বিরোধিতা করেছিলেন।