পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দেবিপুর বোর্ড স্কুলে সরকারি টাকার ভুয়া বিল ভাউচার

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ২৭ নং দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ টাকার কাজ করা হয়েছে যেনতেন ভাবে। তবে ভাউচারে সব লেখা হয়েছে ঠিকঠাক ভাবে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে স্কুল পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মসূচি স্লিপের টাকার করা হয়েছে ভুয়া বিল ভাউচার। বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শাহানাজ বেগমের কথায় মনে হয় তিনি কিছুই জানেন না।জানেন এসএমসি সভাপতি এবং শিক্ষা অফিস।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,বিদ্যালয়টিতে ক্ষুদ্র মেরামত এবং স্লিপের কোন প্লানিং মিটিং হয় না। কমিটির লোকজনকে এসব মিটিংয়ে নোটিশ দেওয়া হয় না। স্থানীয় মেম্বার কমিটির একজন সদস্য।মেম্বার জানেই না বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কে। এসব বরাদ্দ বাস্তবায়ন মিটিংয়ে তাকে কোন দাওয়াত দেওয়া হয় না। গত বছর স্কুলে ২ লাখ টাকার কাজ কেউ তাকে জানায় নি। প্রতি বছর স্লিপের ৭০ হাজার টাকা আসলেও একটি টেবিল কেনার টাকা প্রধান শিক্ষিকার। ক্লাসরুম থেকে বেঞ্চ নিয়ে তা মিশিয়ে চালানো হয় টেবিলের কাজ।উচ্চ শিক্ষিত সহকারি শিক্ষকগণ এতে অনেকটা বিব্রত। অফিসে সংরক্ষিত আলমিরাগুলো এখনও ভাঙাচুরা। প্রাক প্রাথমিকের কক্ষে ফ্লোর ম্যাট ব্যবহার অনুপযোগী।শ্রেনীকক্ষের টেবিল চেয়ারগুলো জরাজীর্ণ। এসব কিনতে টাকার অভাব থাকলেও ভাউচারে কোন টাকার অভাব নেই। অজ্ঞাত কারনেই এসব ভাউচারে অসঙ্গতি খুঁজে পান না শিক্ষা কর্মকর্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,২০২১-২২ অর্থ বছরে বিদ্যালয়টিতে ২ লাখ টাকার ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ হয়।আরও আছে স্লিপের ৭০ হাজার এবং প্রাক প্রাথমিকের ১০ হাজার টাকা। নতুন ভবনের পাশে পুরনো ভবনে রংয়ের লিপ দিয়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার (ভ্যাট বাদে) ভাউচার করা হয়েছে।স্লিপের টাকার কাগজে কলমে হিসাব থাকলেও দৃশ্যমান কোন ব্যয় বা ক্রয় নেই। শিক্ষা অফিসের যোগসাজশে এভাবে ভুয়া বিল ভাউচারেই দেখানো হয় সরকারি টাকার হিসাব।

বিদ্যালয়টিতে রয়েছে শিক্ষক সংকট। প্রধান শিক্ষক সহ তিনটি পদ শূন্য। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। শিক্ষার্থীরা ঠিকমত রিডিং পড়তে পারে না। স্কুল ড্রেস শতভাগ নেই। স্কুলে গিয়ে দেখা যায় প্রধান শিক্ষিকা নেই।খবর পেয়ে স্কুলে আসেন তিনি।সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের খুবই প্রশংসা করেন তিনি।কিন্তু বিদ্যালয়ে গিয়ে এই কর্মকর্তার প্রশংসার মত কোন কিছুই দেখা যায় নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন জানান, অসঙ্গতিগুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।