পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে স্বাক্ষর করলেন সহকারী শিক্ষক

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৩৩ নং ওয়াহেদাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুনা লায়লার অনুপস্থিতিতে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলেন সহকারী শিক্ষক হেদায়েত আল মামুন (অলি)। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পরিদর্শন করে ওই স্বাক্ষর লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে রেখেছেন।

জানা গেছে,উপযুক্ত কোন কারন ছাড়াই বছরের পর বছর এডহক কমিটি দিয়ে দায়সারাভাবে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষিকা রুনা লায়লা। দৃশ্যমান কোন ব্যয় এবং কাজ না থাকলেও স্লিপের টাকা, রুটিন মেরামতের টাকা, ক্ষুদ্র মেরামতের টাকার কোন হিসেব দিতে হয় না কাউকেই। স্থানীয় যুবলীগ নেতা লাভলু তালুকদার প্রধান শিক্ষিকার চাচাত ভাই।লাভলু তালুকদারের ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায় না কেউ।

প্রধান শিক্ষিকার শুভাকাঙ্ক্ষী সহকারী শিক্ষক হেদায়েত আল মামুন (অলি)। প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে আনেন তিনি। সম্প্রতি স্কুলেও এক কান্ড ঘটান এই শিক্ষক। প্রধান শিক্ষিকার অনুপস্থিতিতে শিক্ষক হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষিকার পরিবর্তে ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবরের স্বাক্ষর করে বিপাকে পড়েছেন তিনি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই ছুটিকে মেডিকেল ছুটি দেখানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন প্রধান শিক্ষিকা। এখন প্রতিবন্ধকতা এই জাল স্বাক্ষর।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে নাই। সাড়ে নয়টার দিকে স্কুল থেকে বের হন তিনি। তবে কোথায় গেছেন জানেন না সহকারী শিক্ষকরাও। জানেন না সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারও। শিক্ষা অফিসে জানানোর এক ঘন্টা পরে স্কুলে আসেন তিনি। সাথে আসেন হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী লাভলু তালুকদার। এ সময় শিক্ষক হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তা দেখাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন রুনা লায়লা এবং লাভলু তালুকদার।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি জানান,বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি ভৌমিক জানান,লিখিত অভিযোগ সাপেক্ষে তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।