পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীর ধর্ষণ মামলা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ২০ বছরের এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী।

ধর্ষণের শিকার ওই কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে ১৮ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার প্রধান আসামী (২২) ওই এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ও সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে চাকুরীরত।

ভিকটিমের বাড়ি বরিশালে, তিনি একটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্রী।

জানা গেছে, এক বছর আগে ফেসবুকে ওই সেনা সদস্যের সাথে কলেজ ছাত্রীর পরিচয় হয়। এরপর মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক ও দৈহিক সম্পর্ক তৈরি হয়।
১০ জুলাই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছেলেটি ঢাকায় তার বোনের বাসায় ভিকটিমকে নিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এরপর বিয়ে হয়ে গেছে বলে ওই রাতে ধর্ষন করে।
২৯ অক্টোবর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভিকটিমকে বেড়াতে নিয়ে আবাসিক হোটেলে রেখে আবারো ধর্ষণ করে। এরপর সে ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

৫ নভেম্বর ওই ছাত্রী মঠবাড়িয়া ছেলেটির বাড়িতে চলে আসে। ছেলের বাবা তাকে কাবিনের কাগজ নিয়ে আসতে বলেন। কাবিনের কাগজ নিয়ে আসলে পুত্রবধু হিসেবে মেনে নেওয়ার কথাও জানান।

কাবিননামার বিষয়ে কথা বলতে ভিকটিম ওইদিন মঠবাড়িয়াস্থ ছেলের চাচার বাসায় যান। ছেলের উপস্থিতিতে ওই বাসায় কাবিন করা নিয়ে কথাবার্তা হয়। এরপর চাচা মোটরসাইকেলযোগে ভিকটিমকে বরিশালে পৌঁছে দেয়।

এরপর থেকে ছেলেটি প্রতারনা শুরু করলে বাদীর সন্দেহ হয় এবং ১৮ ডিসেম্বর ছেলে সহ ৬ জন নামীয় এবং ৩ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯ (১)/৩০ তৎসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮ ধারায় ও প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও সহায়তা পূর্বক ধর্ষনের চিত্র ভিডিও করার অপরাধে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল জানান, এ ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি।