প্যালেস্টাইন সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, বহু হতাহত

প্যালেস্টাইনের ভূমি দিবসে ২৭ বছর বয়সী কৃষক ওমর সামুরকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সীমান্তে সমবেত বিক্ষুব্ধদের ওপর ইসরায়েল বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন।

বিবিসি জানায়, বিক্ষোভরত প্যালেস্টাইনীদের ওপর ইসরায়েল সৈন্য বাহিনীর টিয়ারশেল ও গুলি নিক্ষেপের ফলে আহত হয়েছে আরো অন্তত ৭৫০জন। তবে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

প্যালেস্টাইনীদের উত্তাল বিক্ষোভ এবং তা দমনে ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে গাজা উপত্যকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার সকালে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ প্যালেস্টাইনী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু করে।

১৯৭৬ সাল থেকে ৩০ শে মার্চ প্যালেস্টাইনীরা ইসরায়েলের দখলদারিত্বের প্রতিবাদে ‘ভূমি দিবস’ পালন করে আসছে। ওই দিন নিজেদের মাতৃভূমির দখল ঠেকাতে বিক্ষোভে নামলে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে ৬ প্যালেস্টাইন নিহত হন। তাদের স্মরণে ওই বছর থেকেই ভূমি দিবস পালন করে আসছেন প্যালেস্টাইনীরা।

২০০৭ সাল থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। এ বছর ‘দ্য গ্রেট রিটার্ন মার্চ’ নামে ওই দিনটি স্মরণে বিশাল বিক্ষোভের উদ্যোগ নেয়া হয়। ছয় সপ্তাহব্যাপী এই বিক্ষোভ ১৫ মে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

প্যালেস্টাইন অফিসিয়াল সূত্র বিবিসিকে জানায়, ‘গ্রেট মার্চ অব রির্টান’ উল্লেখ করে প্যালেস্টাইনরা ইসরায়েল বর্ডারের কাছাকাছি রাফায় পাঁচটি তাঁবু টানিয়ে বিক্ষোভের জন্য অবস্থান করছে। প্যালেস্টাইনের মিডিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের সীমান্তে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ প্রতিবাদ করছে।

আন্দোলনের সঙ্গে থাকা হামাস দাবি করেছে, প্যালেস্টাইনের কৃষককে হত্যা করে ইসরায়েল ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এমনকি হত্যার প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করতেও নিষেধ করছে! হামাসের সিনিয়র নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেন, আমরা প্যালেস্টাইনের এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেবো না।

তবে ইসরায়েল বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, অন্তত ছয়টি স্থানে এই দাঙ্গার ঘটনা ঘটে এবং মূল হোতাদের উদ্দেশে গুলি ছোড়া হয়েছে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ইসরায়েল সীমান্তে আরো দ্বিগুণ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েল। গাজা সীমান্তে শতাধিক শার্প শুটার (লক্ষ্যভেদ করতে দক্ষ সেনা) মোতায়েন করেছে দেশটির সরকার।