ফরিদপুরে মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার সম্পত্তি আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ !

সাম্প্রতিক সময়ে ফরিদপুরের মধুখালিতে বাবার সম্পত্তি থেকে বোনদের বঞ্চিত করতে ভাগিনাদের ঘরছাড়া করেছেন মামা আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা। এমন অভিযোগ এনে রাজ্জাক মোল্যার বিরুদ্ধে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন বোন সেলিনা সুলতানা।

সেলিনা তার অভিযোগে বলেছেন, তারা চার বোন, দুই ভাই। আব্দুর রাজ্জাক ভাইবোনদের মধ্যে চতুর্থ এবং ভাইদের মধ্যে প্রথম। বাবা জীবিত থাকতেই সব বোনকে লেখাপড়া শিখিয়ে বিয়ে দেন। বাবার মৃত্যুর পর ভাই রাজ্জাক মোল্যা বোনদেরকে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নানা ফন্দি-ফিকির করতে থাকে। ওয়ারিশ সূত্রে বোনদের অধিকার থাকলেও রাজ্জাক মোল্যা বোনদের প্রাপ্য হিস্যা বুঝিয়ে দিচেছ না। এ বিষয়ে নানা দেন-দরবার হলেও রাজ্জাক মোল্যা আজ দেব, কাল দিব বলে কাল ক্ষেপন করছে। বোনদের অংশে লাগানো মেহগনি গাছ বিক্রি করে রাজ্জাক মোল্যা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা।

এদিকে মামার ভয়ে সেলিনা সুলতানার ছেলেরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। মামা রাজ্জাক মোল্যার সন্ত্রাসীরা তাদেরকে নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। রাজ্জাকের পালিত একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী মোটর সাইকেল দিয়ে বোন সেলিনার বাড়ির চারপাশে পাহারা দিচ্ছে।
এছাড়াও রাজ্জাক মোল্যার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আঃ কুদ্দুস। অভিযোগে আঃ কুদ্দুস জানান, এক সময়ে বিএনপির রাজনীতি করা রাজ্জাক মোল্যা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-সংসদের সদস্য ছিলেন। পেশীশক্তির প্রভাব খাটিয়ে তিনি ঐ সংসদে ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদকের পদও ভাগিয়ে নেন। ক্ষমতার পরিবর্তন হলে আব্দুর রাজ্জাক বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বনে যান। তৎকালিন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাজেদা চৌধুরির আস্থাভাজন হয়ে পরিবেশ ও বন বিভাগে চাকুরি জুটিয়ে নেন। এই চাকুরির সুবাদেই অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেন। আব্দুর রাজ্জাক বর্তমানে ঢাকার মোহাম্মদপুরের ২২/৯ ইকবাল রোডে বিলাসবহুল দুটি ফ্লাটের মালিক।
বিভিন্ন ব্যাংকে নানা একাউন্টসহ রয়েছে একাধিক ব্যাক্তিগত গাড়ি। ড্রাইভার-কর্মচারিসহ বেতনভূক্ত নানা লোকজন লালন-পালন করেন এই রাজ্জাক বলে অভিযোগ করা হয়।

ভুক্তভোগী বোন সেলিনা সুলতানা ও আঃ কুদ্দুসসহ এলাকার অনেকেই আব্দুর রাজ্জাকের অন্যায় অপকর্ম বন্ধ করতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এই বিষয়ে রাজ্জাক মোল্ল্যার কাছে জানতে চাইলে পুরো বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন ।