ফিলিপাইনে দুতের্তে যুগের অবসান, নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ

ফিলিপাইনে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন সাড়ে তিন দশক আগে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক ফের্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়ার; বংবং নামেই যিনি বেশি পরিচিত। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় মধ্য দুপুরে ম্যানিলার জাতীয় জাদুঘরে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে মার্কোস জুনিয়র শপথ নেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কথায় কথায় গ্রেফতার-গুলির হুমকি দিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত প্রেসিডেন্ট রদরিগো দুতের্তের মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। গত মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বংবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। তার রানিং মেট ছিলেন সদস্য সাবেক হওয়া প্রেসিডেন্ট দুতের্তের মেয়ে সারা দুতের্তে। সারা আগেই ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ উপলক্ষে ফিলিপিন্সের রাজধানীজুড়ে ১৫ হাজারের মতো নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়।

তার এই অভিষেকের মধ্য দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে মার্কোস পরিবারের রাজনীতির চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন ঘটল, ১৯৮৬ সালের গণবিক্ষোভে ফিলিপাইনের জনগণ যাদেরকে ছুড়ে ফেলেছিল। ৬৪ বছর বয়সি এ রাজনীতিক এমন সময়ে দায়িত্বে এলেন যখন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটি দীর্ঘ মহামারির ধাক্কা সামলানোর পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি ও ক্রমবর্ধমান ঋণের চাপে আছে।

শপথের আগে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট দুতের্তে মালাকানাং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বংবংকে স্বাগত জানান, এ সময় দুতের্তের পরনে ছিল কলারের বোতম খোলা হাতা গোটানো ঐতিহ্যবাহী সাদা শার্ট।

অভিষেকের কয়েকদিন আগেই কর ফাঁকির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন মার্কোস জুনিয়র, কিন্তু তারপরও তার প্রেসিডেন্ট হতে কোনো বাধা নেই বলে ম্যানিলার সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে।

বিরোধী, সমালোচক, মানবাধিকার কর্মী ও গণমাধ্যমের প্রতি তাচ্ছিল্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পশ্চিমা অনেক গণমাধ্যমই দুতের্তেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করে ‘প্রাচ্যের ট্রাম্প’ বলতো।