বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স খুঁজছে ইন্দোনেশিয়া, সবাই নিহত

ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে গতকাল সোমবার বিধ্বস্ত বেসরকারি লায়ন এয়ারের জেটি৬১০ ফ্লাইটে থাকা ১৮৯ জন আরোহীর কেউ বেঁচে নেই বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে উপকূল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের ওই দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে বিমানের ধ্বংসাবশেষ, মানুষের দেহাবশেষ এবং আরোহীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র যেমন- মোবাইল, ব্যাগ, জুতা উদ্ধার করা হয়েছে। খবর রয়টার্স।

কর্তৃপক্ষ গতকালই জানিয়েছে, তারা আশা করেন না যে, আরোহীদের কেউ বেঁচে আছে। আরোহীদের সবাই যে নিহত হয়েছে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

আরোহীদের মধ্যে ২৩ জনই ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার সরকারি কর্মকর্তা। এ ছাড়া ইতালির এক নাগরিক ছিলেন। আর বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ মডেলের বিমানটির চালক ছিলেন ভারতীয় নাগরিক।

এদিকে, এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ জানতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আর সেজন্য বিমানের ব্ল্যাকবক্সের সন্ধান করছেন তারা।

বিবিসি বলছে, বিধ্বস্ত বিমানটির ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারে ইন্দোনেশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাগরে ড্রোন ও সোনার প্রযুক্তি নিয়োজিত করেছে। কারণ ব্ল্যাকবক্সটি উদ্ধার করতে পারলেই সেখানকার রেকর্ড থেকে জানা যাবে কী কারণে বিধ্বস্ত হয়েছিল বিমানটি।

অন্যদিকে, বিমানটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান লায়ন এয়ারের প্রধান নির্বাহী এডওয়ার্ড সিরাইত গতকাল জানান, বিধ্বস্ত হওয়া ফ্লাইটে আগেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সেটা যথাযথ নিয়ম মেনেই ঠিক করা হয় বলে জানান তিনি। যদিও ওই যান্ত্রিক ত্রুটির ধরন নিয়ে কোনো কিছু বলেন নি এডওয়ার্ড।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার খুব সকালে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে রাজধানী জাকার্তা থেকে পাঙ্গাল পিনাংয়ে যাচ্ছিল বিমানটি। কিন্তু উড্ডয়নের মাত্র ১৩ মিনিটের মাথায় কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তবে পাইলটকে জরুরি ভিত্তিতে সোয়েকার্না-হাত্তা বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু ফিরে আসার আগেই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

উল্লেখ্য, দ্রুত অ্যাভিয়েশন মার্কেট সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অন্যতম দেশ। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।

অ্যাভিয়েশন শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেটি৬১০ ফ্লাইটের সব আরোহী যদি নিয় হয় তাহলে ১৯৯৭ সাল থেকে এটি হবে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান দুর্ঘটনা। ওই বছর দেশটির মেদান শহরে গারুদা ইন্দোনেশিয়ার এ৩০০ ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে ২৩৪ জন লোক মারা যায়।