বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, নার্সকে কুপিয়ে রক্তাক্ত

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভৈরবে হাসপাতালের নার্স অঞ্জনা রানী শীলকে (২৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছেন মহেন্দ্র বিশ্বাস (৩৭) নামের এক যুবক।

নার্স অঞ্জনার বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চালাকচর গ্রামে। ভৈরবের বাসস্ট্যান্ট এলাকার মাতৃকা জেনারেল হাসপাতালে তিন বছর ধরে চাকরি করছেন অঞ্জনা রানী শীল।

মহেন্দ্র বিশ্বাসের বাবার নাম মৃত মুকেন্দ্র বিশ্বাস এবং তার বাড়ি হবিগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছৈইলা গ্রামে। তবে মহেন্দ্র বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে ভৈরব শহরের পঞ্চবটি এলাকায় ভাড়া থাকেন এবং শ্রমিকের কাজ করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় মাতৃকা হাসপাতালের সামনে। ঘটনার পর ওই যুবক দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে জনতা তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে ভৈরব থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

আহত নার্সকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নার্সের ভাই সুমন শীল থানায় একটি মামলা করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নার্স অঞ্জনার পূর্বপরিচিত ছিলেন মহেন্দ্র বিশ্বাস। মহেন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রীকে ধর্ম বোন হিসেবে মেনে প্রায়ই তাদের বাসায় যাওয়া-আসা করতেন অঞ্জনা। এরই মধ্যে মহেন্দ্র বিশ্বাসের নজর পড়ে অঞ্জনার ওপর। বিবাহিত হলেও কয়েক মাস আগে নার্স অঞ্জনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মহেন্দ্র বিশ্বাস। তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন অঞ্জনা। সেই সঙ্গে মহেন্দ্র বিশ্বাসের বাসায় যাতায়াত এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন অঞ্জনা। এ অবস্থায় রাগ ও ক্ষোভে মঙ্গলবার দুপুরে একটি দা নিয়ে হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন মহেন্দ্র বিশ্বাস। ডিউটি করতে অঞ্জনা হাসপাতালে প্রবেশ করার সময় কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন মহেন্দ্র বিশ্বাস।

ঘটনার পর দৌড়ে পালাতে চাইলে জনতা মহেন্দ্র বিশ্বাসকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় নার্সকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

মাতৃকা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. কামাল উদ্দিন বলেন, নার্স অঞ্জনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নার্স অঞ্জনা একজন দায়িত্বশীল মানুষ।

ভৈরব থানা পুলিশের ওসি মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, নার্সকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মহেন্দ্রকে জনতা ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।