বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন

বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের লক্ষ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের দুর্নীতি ও বাশিস সভাপতি নজরুল ইসলাম (রনি) এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। বুধবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই প্রতিবাদ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাশিস কেন্দ্রিয় কমিটির অতিরিক্ত সহাসচিব ও সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অরূপ সাহা বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার দ্বৈতনীতি পরিহারের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় তার চেতনায় ধারনকৃত অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থার অঅজু পরিবর্তন ঘটেনি। মাস্টার্স পাশ করা একজন শিক্ষকের ১২৫০০ টাকা বেতন, ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং দীর্ঘ ১৭ বছরের ঘুনেধরা ২৫% উৎসব ভাতা আজও পরিবর্তন হয়নি। শিক্ষকদের এই প্রাপ্তি থেকে ১০% কল্যাণ এবং অবসরে কেটে নেয়া হয়। যা শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী শেষে প্রাপ্তির কথা থাকলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার সঞ্চিত অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। শিক্ষক ও কর্মচারীদেও সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ কালো বিড়ালের থাবায় আজ বিপর্যস্ত। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম (রনি) স্যারের নেতৃত্বে জাতীয়করণের লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম চলছে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের দুর্নীতির বিষয়টিও সমগ্র শিক্ষক কর্মচারীদের মনে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে শুরু হয় অনলাইনে আন্দোলন। এমতাবস্থায় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নজরুল ইসলাম (রনি) স্যারের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন সহ প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন করা হয়। কিন্তু জাতীয়করণ আন্দোলনকে থামিয়ে দেয়ার জন্য বাশিস সভাপতি রনি স্যারকে বভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হককে ভুল বুঝিয়ে ডিও লেটার সংগ্রহ কওে রনি স্যারের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দাখিল করা হয়। এঘটনায় শিক্ষক সমাজে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রনি স্যারের নেতৃত্বে সারা বাংলা শিক্ষক সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জাতীয়করণ আন্দোলনও আরো বেগবান হয়েছে। বাশিস সাতক্ষীরা জেলা শাখার পক্ষ থেকে আমরা এহেন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বাশিস জেলা সম্পাদক অরূপ সাহা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেত্রীত্বে বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি’র হার যেখানে শক্তিশালী অবস্থানে সেখানে শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দের পরিমান অত্যান্ত নাজুক।

এবিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করেই এবং শিক্ষাবান্ধব সরকার হিসাবে তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) প্রতি আস্থা রেখে মুজব বর্ষে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি জানান।