ভারতে গণধর্ষণে গর্ভবতী ছাগলের মৃত্যু

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে সাত বছর বয়সী গর্ভবতী একটি ছাগলকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গত বুধবার (২৫ জুলাই) রাজ্যের মেওয়া জেলায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পরদিন ছাগলটির মৃত্যু হয়।

পুলিশ বলছে, অভিযুক্তরা সবাই স্থানীয় এবং তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আছে। এদের মধ্যে তিনজনকে পিটিয়েছে গ্রামবাসী। ওইদিন গুরুগ্রাম শহরের ৭৩ কিলোমিটার দক্ষিণে মারোদা গ্রামে ছাগলটির মালিক তিনজনকে অপকর্ম করতে দেখেন।

এ ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অ্যানিমেল ক্রুয়েলটি অ্যাক্টের এ ধারায় মানুষ, নারী বা পশুর সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ।

স্থানীয় পুলিশ সুপার নাজনীন ভাসিন বলেন, আমরা এ ঘটনার তদন্ত করছি। ছাগলের মালিকের কাছ থেকে জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। আমরা অপরাধের প্রকৃত ধরন সম্পর্কে জানতে প্রতক্ষ্যদর্শী এবং গ্রামবাসীর জবানবন্দি নিচ্ছি। বিস্তারিত জানার পর অপরাধীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

আসলুপ খান নামের ২৭ বছর বয়সী ট্রাকচালক ওই ছাগলটির মালিক। তিনি বলেন, গত বুধবার রাতে তার ঘর লাগোয়া খোয়ার থেকে ছাগলটি হারিয়ে যায়। এরপর ছাগলটি খোঁজা শুরু করি। সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ শব্দ শুনে বাইরে গিয়ে দেখি খোয়ারের দরজা খোলা।

‘এর আগে, আমার ৪টি ছাগল হারিয়ে গেছে; এটাই ছিল আমার অবশিষ্ট ছাগল। আমরা যখন ছাগলটি খুঁজছি তখন এক জায়গায় দেখি তিনজন ব্যক্তি ছাগলটিকে ধর্ষণ করছে।’

তিনি বলেন, তাদেরকে তিনি ঘটনাস্থলেই আটক করেন এবং মারধর করেন। তারা প্রতিনিয়ত এ ধরনের অপরাধ করায় পালিয়ে যায়। তারা বলেছে, ওই রাতে আরো ৫ জন ছাগলটিকে ধর্ষণ করেছে। পুলিশ বলছে, ওই তিনজন মোটরসাইকেল এবং গরু চুরির দায়ে এর আগে জেলে ছিল।

এই ঘটনার পর ছাগলটির অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে থাকে। পরদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছাগলটির মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা ঘটনাটি জানালে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।