ভালুকায় বিস্ফোরণ : চলে গেলেন বাকি দু’জনও

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিস্ফোরণে দগ্ধ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্র তাওহীদুল ইসলাম ও শাহীন মিয়ার পর চলে গেলেন বাকি দু’জনও।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে হাফিজুর রহমান এবং শুক্রবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে মারা যান দীপ্ত সরকার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশের এসআই বাচ্চু জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত চারজনই গত ছয়দিন আগে (২৫ মার্চ) ময়মনসিংহের ভালুকায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে তাওহীদুল ইসলাম বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এখন ওই ঘটনায় আর কেউ জীবিত থাকলেন না।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তারা চারজন। ভালুকায় স্কয়ার ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি কারখানায় ইন্টার্ন করতে আসেন চার সহপাঠী।

গত ১০ মার্চ তারা ওই কারখানার কাছে জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় আরএস টাওয়ার নামের একটি ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলায় বাসা ভাড়া নেন। ২৪ মার্চ রাতে ওই বাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে তাওহীদুল ইসলাম তপু ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকি তিনজনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহীন মিয়া।

এদিকে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েই তারা দগ্ধ হয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, ওই ভবনে আগে থেকেই তিনটি সিলিন্ডার রাখা ছিল; এর বাইরে অবৈধভাবে গাস সংযোগ নেয়া হয়েছিল। তৃতীয় তলার সিলেন্ডারটি সেই রাতে বিস্ফোরিত হয়।

ওই ভবনের মালিক ঝুট ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ।