নওগাঁয় ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার গ্রেফতার

নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার হামিদুলের কিছুতেই শেষ রক্ষা হলো না।এলাকায় সে হাতুড়ি ডাক্তার হিসাবে বেশ সু-পরিচিতি লাভ করার পর অতিলোভে পড়ে নিজেকে এমবিবিএস দাবি করেন রাতারাতি, আর তখনই ঘটে বিপত্তি।

গত ২০১৭ সাল থেকে একের পর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এর বেড়া-জালে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে অবশেষে গ্রেফতার হয়ে চলে গেলেন শ্রীঘরে। তার গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষদের মনে বইতে শুরু করে খুশির হিমেল হাওয়া।তিনি শুধু ভূয়া ডাক্তার-ই না, তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ও কৃষকলীগ নেতা রাজ্জার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবেও মামলা রয়েছে।

তথ্য সূত্রে জানাযায়,বাংলাদেশ ডেন্ডাল এন্ড মেডিক্যাল কাউন্সিল (BMDC) তার ভূয়া কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে শাহবাগ থানায় একটি সিআর মামলা দায়ের করেন।উক্ত মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী হিসাবে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে আত্রাই থানা পুলিশ। মামলাটির বাদী মোঃ আনোয়ার উল্লাহ্ সাংবাদিকদের মুঠোফোনে বলেন,সে মেডিক্যাল সাইন্সে পড়াশোনা না করে সরকারের সাথে প্রতারণা করে বিএমডিসি থেকে (এ-৮৩৭২৫) রেজিঃ নাম্বার হাতিয়ে নেয়। সেই সাথে এলাকায় নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার দাবি করে ব্যানার ফেস্টুন ঝুঁলিয়ে সাধারণ মানুষদের সাথে প্রতারণা করে।

তাকে নিয়ে যখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় তারপর-ই ঘটনাটি আমাদের নজরে আসে। আর তখনই আমরা ভূয়া প্রতারক হামিদুলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তাকে ভূয়া ডাক্তার এবং প্রতারক হিসাবে চিন্থিত করে ২০১৯ সাল “দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়” একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এখানেই সীমাবদ্ধ নয় সেই সাথে তাকে সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। সে যদি চিকিৎসার কোন কার্যক্রম চালায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও গ্রহণ করতে বলা হয় স্থায়ী প্রশাসনকে।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আত্রাই থানা পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল এএসআই শাহিন, এএসআই নজরুল ও এএসআই মাহবুব আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন চত্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করে। আত্রাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন,বাংলাদেশ ডেন্টাল এন্ড মেডিক্যাল কাউন্সিলের (শাহবাগ থানা) মামলায় তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ।