মঠবাড়িয়ায় নতুন ভবনে মেরামতের বরাদ্দ; অনৈতিকভাবে ভাউচার তৈরি প্রধান শিক্ষকের

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ১৯৮ নং বাদুরতলী আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শেষ পর্যায়ে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়টির নামে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র মেরামতের ২ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। আর এ বরাদ্দ উত্তোলনের জন্য ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করেছেন প্রধান শিক্ষক সুকুমার রায়।

উপজেলা শিক্ষা অফিস ও প্রকৌশল অফিসের যোগসাজশে প্রধান শিক্ষক এ টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নতুন ভবনের কাজ চলমান অবস্থায় আপদকালীন অস্হায়ী গৃহে ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ ব্যয় করার প্রাক্কলন (ইস্টিমেট) তৈরি করে দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম। আর এ ইস্টিমেট অনুযায়ী ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করেছেন প্রধান শিক্ষক সুকুমার রায়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) মাধ্যমে না করে দোকান থেকে ফাঁকা ভাউচার সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর তাতে প্রাক্কলন (ইস্টিমেট) অনুযায়ী লিখে বরাদ্দের টাকা উত্তোলনোর জন্য শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। আর এ ভুয়া ভাউচার তৈরিতে সহযোগিতা করেন একজন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সুকুমার বাবু জানান, ক্ষুদ্র মেরামতের ২ লাখ টাকা দিয়ে আসবাবপত্র ক্রয় ও মেরামত করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি তৃপ্তি রানী ওই একই কথা বললেও ভাউচারে স্বাক্ষর দিয়েছেন কিনা তা বলতে পারেননি। পরে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে ভাউচারে স্বাক্ষর দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।অন্যদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়া আকন বিদ্যালয়টিতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দের বিষয়ে কিছুই জানেন না।

জেলা শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি জানান, নতুন ভবন হস্তান্তরের আগে মেরামতের প্রশ্নই আসে না। আর এ টাকা দিয়ে ফার্নিচার ক্রয় করলেও তাতে স্বচ্ছতা থাকতে হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম জানান, ৬/৭ মাস পর নতুন ভবনটি পাঠদানের জন্য হস্তান্তর করা হবে। এরমধ্যে ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা দিয়ে অস্হায়ী গৃহটি মেরামত করতে পারে।