মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন শিক্ষক ছেলে

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মাকে মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন আদর্শ ফাজিল মাদরাসার বিএসসি শিক্ষক মো. নাজিম উদ্দিন।

উপজেলার পোদ্দারবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পোদ্দারবাড়ি গ্রামের মৃত তফেজ উদ্দিনের ছয় ছেলের মধ্যে পাঁচ ছেলে মো. নাজিম উদ্দিন, শামছুল হক, দুলাল উদ্দিন, মোক্তার হোসেন ও মানিক মিয়া মিলে মা আমিনা বেওয়া ও বড় ভাই বাবুল হোসেনকে অশ্লীল গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।

জানা গেছে, মায়ের নামের জমি জাল দলিল করে দোকানঘর দখলে নিয়েছেন। এ বিষয়ে মধুপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ও জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ করেছেন বড় ভাই বাবুল হোসেন।

গত ২৭ নভেম্বর বাবুলের মা আমিনা বেওয়া এ প্রতিবেদকের সঙ্গে ছেলেদের নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, নাজিম মাস্টার আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারতে আসে। আমার স্বামীর বসতভিটা থেকে আমাকে ওরা বের করে দিয়েছে। আমি এখন বড় ছেলে বাবুলের সঙ্গে ঢাকায় থাকি এবং মাঝে মাঝে আমার বাবার বাড়িতে থাকি। আমি ছেলেদের বিচার চাই, তা না হলে ওরা আমার বড় ছেলেকে মেরে ফেলবে।

মো. বাবুল হোসেন জানান, বৃদ্ধা মাকে দেখাশোনা করি বলে আমার ছোট ভাইরা ময়মনসিংহ সড়কের আমার দোকারঘর দখল করে ভাড়াটিয়াদের বের করে দিয়েছে এবং ভুয়া দাতা সাজিয়ে গত ৩ আগস্ট ১.১১ শতাংশ জমি জাল দলিল (দলিল নং ৩১৯৬) করেও নিয়েছে। ওরা বণিক সমিতির নির্দেশও অমান্য করেছে।

মধুপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম মাসুদ জানান, বাবুলের মায়ের কাছ থেকে আমি ঘর ভাড়া নিয়ে দোকান করেছি। মাকে নির্যাতনের পাশাপাশি ৫ ভাই মিলে ওর মায়ের সেই ঘরও দখল করে নিয়েছে।

এ বিষয়ে মধুপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মো. সিদ্দিক হোসেন খান জানান, নাজিম মাস্টারের নেতৃত্বে বাবুলের ৫ ভাই মা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করতেছে। যা সভ্য সমাজে কোনো ছেলের পক্ষে সম্ভব নয়। একটি কুচক্রী মহল তাদেরকে ইন্ধন দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে, মাকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, আমার মা বড় ভাইয়ের সঙ্গেই থাকেন। তাই তাকে আমাদের কাছে আনি না।