মাগুরায় সরকারি জমি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ

মাগুরা প্রতিনিধি : ১৯৬৫ সালে রিফিউজি শরনার্থী শিবিরের জন্য তৎকালীন যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে ৫৮ হাজার টাকায় বিক্রি করা একটি জমি পুনরায় একটি বে-সরকারি স্কুলের কাছে বিক্রি করে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়ন সদরে।

মাগুরার জেলা প্রশাসকের কাছে বাবুখালী সুলতানশী গ্রামের ইমরান মৃধা নামে এক ব্যক্তি বিষয়টি তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে আসছে এসব তথ্য।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, বাবুলখালী ইউনিয়নের সুলতানশী ১৩ নম্বর মৌজার ১৭৩,১৭৪,১৭৫,১৭৬ দাগের ৫৮ শতক এবং ২১৮ দাগের ৫ শতক সর্বমোট ৬৩ শতক জমি এটির মালিক শাহজাহান মৃধা ও নছের উদ্দিন মোল্যা রিফিউজি শরনার্থি শিবির স্থাপনের জন্য তৎকালীন জেলা প্রশাসকের সরকারি মালিকানায় ( দলিল নম্বর ১৪৩১/২৭.০৭.১৯৬৫) হস্তান্তর করেন। যার বাবাদ সরকারি ভাবে তাদের ৫৮ হাজার টাকা মূল্য দেয়া হয়। ঘটনার দীর্ঘ দিন পর ২০১২ সালে দানকৃত ওই জমির মধ্যে ১৭৩ ও ১৭৬ দাগের ১৯ শতক জমি নিজেদের মালিকানাধিন দেখিয়ে মৃত শাহজাহান মৃধার ছেলে গোলাম আকবর মৃধা, গোলাম তকব্বর মৃধা, মনোব্বর মৃধা, সরোয়ার মৃধা বাবুখালী আফতাব উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছে ৮ লাখ টাকা মূল্যে ( দলিল নম্বর ১৩৭০/২০১২) বিক্রি করেছেন। অথচ ১৯৬৫ সালে সরকারের অনুকুলে বিক্রি করা জমির দলিলে দেখা যায় ১৭৩,১৭৪,১৭৫,১৭৬ এই চার দাগের ১৬ আনা অংশই সরকারি মালিকানা সূত্রে শরনার্থি শিবিরের জন্য ভোগ দখল করার যোগ্য হবে। একই জমি সরকারের কাছে ও পরবর্তীতে জালিয়াতির মাধ্যমে একটি স্কুলের কাছে বিক্রির এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

সুলতানশী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দবির মৃধা এ বিষয়ে জানান, এই জমি বিক্রির মাধ্যমে নগদ টাকা গ্রহণের পাশাপাশি অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে বিক্রেতা গনের মধ্যে তকব্বর মৃধা নিজে আফতাব উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আজিবন দাতা সদস্য হয়েছেন। অথচ বিনামুল্যে জমিদান ছাড়া এ ধরনের স্কুলে দাতা সদস্য হবার কোন নিয়ম নাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে গোলাম আকবর মৃধা বলেন, “স্কুলের কাছে বিক্রি করা জমির প্রকৃত মালিক তারাই। তাদের নামে এ সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। এলাকার একটি প্রতিপক্ষ গ্রæপ শত্রæতা বশত তাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে”।

মাগুরা জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, “বিষয়টি তদন্তের জন্যে আগামী ৩০ মে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিযোগ কারিদের মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তথ্য প্রমানসহ উপস্থিত হতে বলা হয়েছে”।