মাদারীপুরে প্রকাশ্যে বালু ব্যবসায়ীর দুই পা ভেঙ্গে দিলো প্রতিপক্ষ, ভিডিও ভাইরাল

মাদারীপুরে দিনদুপুরে এক বালু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে এমন ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। উন্নত চিকিৎসার জন্য হোসেন সরদারকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেছে চিকিৎসক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার খোয়াজপুর-টেকেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত হোসেন সরদার (৬০) চর খোয়াজপুর গ্রামের আসমত আলী সরদারের ছেলে ও তিনি দীর্ঘদিন ধরে বালু ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে খোয়াজপুর-টেকেরহাট বাজারের একটি দোকান ছিলেন বালু ব্যবসায়ী হোসেন। এ সময় তাকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে আসেন এক ব্যক্তি। পরে ১০-১৫ জন লোক নিয়ে প্রতিপক্ষ সাইফুল সরদারের নেতৃত্বে হোসেনের উপর হামলা চালানো হয়। লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হোসেনের দুই পা ভেঙ্গে ফেলে তারা। একপর্যায়ে চিৎকার চেচাচেমি শুরু করে ওই বালু ব্যবসায়ী। হোসেনের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। উন্নত চিকিৎসার জন্য হোসনকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেছে চিকিৎসক।

স্বজনদের অভিযোগ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়াই এই হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ সাইফুল সরদার। সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-০৩ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া হেরে যাবার পরপরই হুমকি দিয়া আসছে সদ্য বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের সমর্থক সাইফুল সরদার। পরে লোকজন নিয়ে চালিয়েছে এই হামলা।

মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মুন্সি জানান, মাদারীপুর-০৩ আসনের সংসদ নির্বাচনে হোসেন সরদার নৌকার পক্ষে কাজ করে। কিন্তু নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ হেরে যান। বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম। এজন্য তাহমিনা বেগমের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। মূলত নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্যই এই হামলা। এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, এলাকার আধিপত্য নিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমকিভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।