মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দীন ভূইয়ার ক্ষোভ

নেত্রকোণা মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দেওসলিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দীন ভূইয়া। (মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ০১৭২০০০২২০৮) তিনি আক্ষেভ করে বলেন,আমার মুক্তি যোদ্ধা সনদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিকট বিক্রি করতে চাই। আমি ১৯৬৭ সাল হতে বঙ্গবন্ধু আর্দশে আওয়ামী লীগ করে আসছি। আমার গ্রামের অনেক লোকই তখনকার সময়ের মুসলীমলীগ করিত।

১৯৭১সালে (২৬ মার্চ) যখন যুদ্ধ লেগে গেল, তখন আমরা ৫ (পাঁচ) সহোদর ভাই বঙ্গবন্ধু ডাকে মা বাবার অনুমতি নিয়ে ভারতে চলে যাই। ভারতের তোরা জেলায় ট্রেডিং করে ১১ নং সেকটরে কর্ণেল তাহেরের অধীনে দীর্ঘ ৭ মাস যুদ্ধ করি হানাদার বাহিনী সাথে ৮/৯ মাস জঙ্গলে থাকলে তার যে কষ্ট বলার সীমা নাই। ভারতের বি এস এফ ২ দিন পর পর একদিন ভাত নিয়ে আসত,তাও তরকারী বিহীন।

এ দিকে মুসলিমলীগের লোক শান্তি কমিটি নামে সংগঠন করে পরিবারের উপর নির্যাতন অবিচার করিত। আমার মা বাবা পাঁচ ভাইকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য ঢেলে দিয়ে ছিল, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু ডাকে। আমার মা বাবা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন স্বাধীনতার কোন স্বাদ পায়নি।

জাতীর জনক বলে ছিলেন ‘ সাড়ে সাত কোটি বাঙালী ‘ সাড়ে সাত কোটি কম্বল দিলাম,আমার কম্বল কোথায়? ” মানুষ দেশ স্বাধীন করে পেয়েছে সোনার খনি,আমি স্বাধীন করে পেয়েছি ‘ চোরের খনি।

আমরা ১ লক্ষ ২০ হাজার মুক্তি যোদ্ধা, ৯৪ হাজার মেলিটারির সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। এখন শুনি ২ লক্ষ ১০হাজার মুক্তি যোদ্ধা হয়েছে। যে সব দালাল সন্তানদের ঘরে রেখে গিয়ে ছিলাম যুদ্ধে, আমরা দেশ স্বাধীন করে এসে দেখি দালালদের সন্তানরা ঘনেই আছে।

আজ তারাও দেখছি মুক্তি যোদ্ধা, এক শান্তি কমিটির সন্তান ঘরে বসেই মুক্তি যোদ্ধা হয়েছে। তার জন্য আপনার কতই না অফিস লোকজনের কাছে গেলাম কাজ হয় নাই।

আজ ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে ধরে রাখতে চাই কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদেরকে সর্বশান্ত করে রেখেছে। আমাদের পরিবারে ৫ ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা, এখন পর্যন্ত কোন ভাই এর নামে মুক্তি যোদ্ধা ঘর বরাদ্দ হয়নি।

২৬ মার্চ ১৬ ডিসেম্বর দিনটি মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ স্মরণীয় দিন। সেই দিনটি উপভোগ করিতে পারছি না। কারন ভূয়া মুক্তি যোদ্ধা আমাদের সামনে বক্তব্য রাখে, এতে আমার শরীর স্বীয়রিয়া উঠে।