মানিকগঞ্জে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করলো ৬৫ বছরের বৃদ্ধ

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ৬৫ বছরের বৃদ্ধের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে মাদরাসার শিশু শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। ওই বৃদ্ধের স্বজন ও এলাকার প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও ঘটনার এক সপ্তাহ পর সিঙ্গাইর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিশুটির মা।

অভিযুক্ত ছোবাহান ফকিরের বাড়ি উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা গ্রামে।

ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশে একা দাঁড়িয়েছিল শিশুটি। এ সময় প্রতিবেশী বৃদ্ধ আব্দুস ছোবাহান শিশুটিকে কৌশলে বাড়ির অদূরে একটি পাটখেতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মুখ চেপে ধরে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ছোবাহান ফকির।

এ সময় ওই স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি দেখে ফেলেন প্রতিবেশী নাজমা বেগম। তিনি এগিয়ে গেলে সেখান থেকে সটকে পড়ে ছোবাহান।

পরে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। লোকলজ্জার ভয়ে ওই দিন কাউকে কিছু না বলে বাড়িতেই শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে পরের দিন সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান স্বজনরা। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ওই সময়ই তাকে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তিনদিন চিকিৎসার পর গত রোববার তাকে বাড়িতে আনা হয়।

এদিকে ভুক্তভোগী শিশুটির খালা বলেন, হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসার পর অভিযুক্ত আব্দুস ছোবাহান ফকিরের আত্মীয়-স্বজন ঘটনাটির মিমাংসার জন্য চাপ দেয়। বিষয়টি প্রকাশ না করতে আমাদের হুমকি ও ভয়ভীতিও দেখায়। কোথাও বিচার না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।

থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় মাতবররা ঘটনাটি গোপনে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছিল। বিষয়টি জানার পর ভিকটিমের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বুধবার সন্ধ্যায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত ছোবান ফকিরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।