মিথ্যাচারের কারণে দিন দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিএনপি: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিথ্যাচারের ঢোলক বাজিয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করাই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি। সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপি দেশের বিরোধিতায় নেমেছে, মিথ্যাচার করছে। এসব কারণেই বিএনপি দিন দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

রোববার সংসদ ভবনের তার সরকারি বাসভবনে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা করোনার এই বৈশ্বিক সংকটে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করে দেশবিরোধী অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে লিপ্ত। ইতালি প্রবাসী বিএনপির এক নেতার দেশবিরোধী অসত্য বক্তব্য প্রবাসীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বিএনপি দেশ-বিদেশে যে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, সেটা আবারও প্রমাণ হলো।

তিনি বলেন, ইতালি প্রবাসী ওই বিএনপি নেতা বলেছেন, বাংলাদেশে না-কি ১০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত, দেশে কোনো চিকিৎসা নেই এবং ১০ হাজার মানুষ ইতালির পথে রয়েছেন। যারা ইতালি যাচ্ছেন, তাদের কাছেও না-কি ভূয়া রিপোর্ট রয়েছে? বিএনপি নেতাদের এ ধরনের আজগুবি ও মিথ্যা বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে ছোট করা হচ্ছে। লাখ লাখ প্রবাসীকে অস্থিরতায় ফেলে দেওয়া এমন অসত্য বক্তব্যে ইতালি প্রবাসীসহ পুরো জাতি ক্ষুব্ধ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দু’টি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার কারণে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ যেমন কমছে, আস্থাও কিছুটা কমছে। করোনার নমুনা সংগ্রহের পর যাতে রেজাল্ট দিতে দীর্ঘ সময় না লাগে- ল্যাবগুলোকে সেদিকে মনোযোগী হতে হবে। নাহলে রোগীদের আস্থাহীনতা তৈরি হতে পারে।

তিনি বলেন, বিদেশে যেতে চাইলে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকার নির্ধারিত ১৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে করোনার সনদ গ্রহণ করতে হবে। ফি দিয়ে পরীক্ষা করাতে হয় বলে অসহায় দরিদ্র মানুষ নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। করোনার অভিঘাতে অনেক মানুষ এখন কর্মহীন। তাই আর্থিক সক্ষমতার কথা বিবেচনা করে ফি ছাড়া পরীক্ষার সুযোগ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের বিভিন্নস্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। সরকারি ও এমপিওভুক্ত ছাড়াও বিশাল একটি অংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। করোনার এই সংকটকালে তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।