মেয়েদের ঢিল ছোড়ার অভিযোগে ৯ ছাত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হাকিমপুর কৈজুরী বিএনআর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ৯ ছাত্রকে বেত ও লাঠি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাদ্দেস আলী ও সহকারী শিক্ষক মুরশিদ আলমসহ একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত ছাত্রদের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিভাবক মহলে ক্ষোভ ও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ছাত্র মিলন চৌধুরীর বাবা আব্দুল গফুর চৌধুরী বাদী হয়ে অভিযোগ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি শিক্ষার্থীরা হলো- বিপ্লব হোসেন, মিলন চৌধুরী, ইশা চৌধুরী, আল আমিন, মনোয়ার, খাতিব ইসলাম, আবু সালেহ, আরাফাত ও মুছা।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তার হোসেন মন্ডল বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এসে অভিযোগ করলে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং আহত শিক্ষার্থীদের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিই।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে অতিরিক্ত ক্লাস করার সময় মেয়েদের কে বা কারা ঢিল ছুড়েছে তা আমরা কেউ বলতে পারি না। এরই জের ধরে আমাদেরকে প্রধান শিক্ষক ডেকে নিয়ে গিয়ে রুমে সভাপতির নির্দেশে বেধড়ক মারধর করেন।

আহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, যদি আমাদের ছেলেরা অপরাধ করে তাহলে আমাদেরকে কেন জানানো হলো না। আমাদেরকে না জানিয়ে তারা অন্যায়ভাবে আমাদের ছেলেদের মারধর করেছে, আমরা এর বিচার চাই।

হাকিমপুর কৈজুরী বিএনআর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাদ্দেস আলীর মুঠোফোন (০১৭১৯-৭৩৮৫৮৬) বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

তবে এসব কথা অস্বীকার করে সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, কয়েকদিন থেকে অতিরিক্ত ক্লাস চলাকালীন ছাত্রীদের ঢিল ছুড়ে ছাত্রীদের বিরক্ত করছে ছেলেরা। সে কারণে তাদেরকে একটু শাসন করা হয়েছে।

পাঁচবিবি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ জানান, খবর পেয়ে আমি বিকেলে আহত শিক্ষার্থীদেরকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি। এ ঘটনার তদন্ত করে দোষী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঁচবিবি থানার ওসি বজলার রহমান জানান, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে একজন অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।