মোবাইলে বাংলা এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর খরচ অর্ধেক

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মোবাইলে বাংলা এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। গ্রামীণফোন ও টেলিটকের গ্রাহকরা শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকেই এই সুবিধা পাচ্ছেন।

আর রবির গ্রাহকরা ১৫ মার্চ ও বাংলালিংকের গ্রাহকরা ৩১ মার্চ থেকে এই সুবিধার আওতায় আসবেন।

শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মিলনায়তনে বিটিআরসি, অ্যামটব এবং মোবাইল অপারেটরদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অর্ধেক খরচে বাংলা এসএমএস উদ্বোধন করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগে প্রতি এসএমএসের খরচ ভ্যাটসহ ছিল ৬৬ পয়সা, এখন বাংলার ক্ষেত্রে তা কমে হলো, ভ্যাটসহ ৩৩ পয়সা। এখন থেকে এই সুবিধা বহাল থাকবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমানসহ বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাভাষার জন্য রক্ত দিয়ে বাংলাভাষা ভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার পর আমাদের নৈতিক দায়িত্ব সর্বত্র বাংলা চালু করা।’

মোবাইলে বাংলা এসএমএসের খরচ অর্ধেক করায় মোবাইল কোম্পানিগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘তারা বাণিজ্যের প্রতি না তাকিয়ে বাংলার প্রতি তাকিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু এবং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশি অর্থাৎ দেশে প্রায় ১৭ কোটি মোবাইল সংযোগ রয়েছে। কেবল শিক্ষিত শ্রেণি মোবাইল ব্যবহার করে তেমনটিও নয়।’

সার্বজনীন বোধগম্য ভাষায় মোবাইল এসএমএসকে একটি কার্যকরী যোগাযোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।

তিনি মোবাইল অপারেটরদেরও গ্রাহকদের কাছে বাংলায় এসএমএস পাঠানোর পরামর্শ দেন। মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের কাছে বাংলায় এসএমএস পাঠাবেন বলে মন্ত্রীকে কথা দেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া সর্বত্র বাংলায় দাফতরিক যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেটে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা ছিল, কিন্তু আইক্যান ও ইউনিকোডের সঙ্গে সরকারের সুদৃঢ় উদ্যোগের ফলে আমরা তা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি।