যশোরের মণিরামপুরে পিকআপ ভর্তি ভেজাল সার জব্দ, কারখানা সিলগালা

যশোরের মণিরামপুরে ভেজাল দস্তা সারসহ একটি পিকআপ জব্দ করেছে পুলিশ।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে উপজেলার বাঁধাঘাটা সরকারি প্রাইমারী স্কুলের রাস্তা থেকে গাড়িটি আটক করা হয়।

খবর পেয়ে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই স্কুলসংলগ্ন জরাজীর্ণ একটি ঘরে ভেজাল সার তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেন মণিরামপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান। পরে ঘরটি সিলগালা করে দেন আদালত। এ সময় ভেজাল সার তৈরির সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান বলেন, আমরা ভেজাল দস্তা সার তৈরির কারখানা সিলগালা করে দিয়েছি। সার তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও একটি পিকআপভর্তি সার জব্দ করেছি।

এসিল্যান্ড বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযান চলাকালে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। এ জন্য কাউকে জেল-জরিমানার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহীন ইসলাম বলেন- যে সার জব্দ হয়েছে, তা চুন আর গোবর মিশিয়ে তৈরি বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারখানায় কয়েকটি চুনের বস্তা পাওয়া গেছে। এখানে ভেজাল দস্তা সার তৈরি করে ‘লাঙল মার্কা’, ‘জেএন মনোজিংক’ ও ‘আমেরিকান জিংক’ কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে বাজারজাত করা হতো। সারের মান নিশ্চিত করতে আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছি।

মেহেদী হাসান নামে স্থানীয় এক কলেজছাত্র বলেন, এক মাস হবে এ ঘর ভাড়া নিয়ে সাত-আটজন লোক থাকছেন। দিনের বেলায় বন্ধ রেখে রাত হলে তারা ভেতরে কাজ করতেন। নিয়মিত একটা পিকআপ সন্ধ্যায় কিছু মালামাল নিয়ে আসত। রাত ১১টায় আবার সার ভর্তি করে চলে যেত। এখানে যে ভেজাল সার তৈরি হয়, আমরা বুঝতে পারিনি।

মণিরামপুর থানার এসআই আবু বক্কর বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে একটি চক্র বাঁধাঘাটা স্কুলের পাশে মুনতাজ আলী বশিয়ার একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ভেজাল দস্তা সার তৈরি করার অভিযোগ পাই। রোববার দিবাগত রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানার সামনে সারভর্তি একটি পিকআপ দেখতে পাই। তখন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পিকআপ ফেলে চালকসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি এসিল্যান্ড ও কৃষি কর্মকর্তাকে জানানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহীন ইসলাম, মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্করসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।