যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে

বরিশালের হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহামুদ টিপুর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা তারিক মাহামুদ তন্ময়ের বিরুদ্ধে এক যুবককে আটকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আহত যুবকের নাম মোসাদেক হোসেন। সে ওই উপজেলার আজিমপুর গ্রামের কামাল হোসেন সিকদারের ছেলে এবং এ বছর এসএসসি পাশ করেছে। আহতাবস্থায় তাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত মোসাদেক জানান, ১০-১২ দিন আগে তন্ময় আকস্মিকভাবে তাকে চেয়ারম্যানের বাসভবনের একটি কক্ষে আটকে রাখে। এরপর শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের ছ্যাকা দেয়। পায়ের নীচে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে ক্ষত করে। এ সময় ডাক চিৎকার দিলেও কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। তার বাবা-মা ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি করে। এ কারণে সে (মোসাদেক) তার দাদী নূরজাহান বেগমের কাছে থাকে। নূরজাহান নাতীর খবর নেয়ার জন্য তন্ময়ের কাছে গেলে তাকে জানানো হয় মোসাদ্দেক ভালো আছে। এক পর্যায়ে তন্ময় রাখা মোসাদেককে তার দাদীর কাছে নিয়ে গিয়ে আবার বাসায় নিয়ে আটকে নির্যাতন শুরু করে। সবশেষ গত শুক্রবার একইভাবে মোসাদ্দেককে তার দাদীর কাছে নিয়ে যায় তন্ময়। এ সময় মোসাদ্দেক ডাক-চিৎকার দিয়ে নির্যাতনের বিষয়টি জানালে গ্রামবাসী জড়ো হয়। তন্ময় তার দলবল নিয়ে সটকে পরে। খবর দেয়া হয় মোসাদ্দেকের বাবা-মা’কে। তার মা এসে আজ বিকেলে মোসাদ্দেককে শেরে-ই মেডিকেলে ভর্তি করেন।

মা মরিয়ম বেগম জানিয়েছেন, ছেলে মোসাদেক সুস্থ হওয়ার পর তিনি তন্ময়ের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। এদিকে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, তন্ময়ের নিজস্ব একটি গ্রুপ রয়েছে। মোসাদ্দেকও ওই গ্রুপের সাথে ছিল। সম্প্রতি ওই গ্রুপে না থাকার বিষয়টি তন্ময়কে জানানো হলে সে ক্ষুব্ধ হয় মোসাদ্দেকের উপর। তাকে আটকে চালানো হয় নির্যাতন।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহামুদ টিপু বলেন, মোসাদেক তার ছেলে তন্ময়ের সাথে থাকে। মোসাদ্দেককে আটকে কেন নির্যাতন চালানো হয়েছে সেটা তিনি জানেন না। মোসাদ্দেকের শরীরে সিগারেটের ছ্যাকা দেয়া হয়েছে জানালে এর উত্তরে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, আমার ছেলে সিগারেট খায় না।

হিজলা থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি বরিশালে ইফতার পার্টিতে আছেন। হিজলায় গিয়ে বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।