যৌথভাবে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বানাবে যুক্তরাজ্য-ইতালি-জাপান: বিবিসি

যৌথ উদ্যোগে কৃত্রিম বুদি্ধমত্তার অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বানাবে যুক্তরাজ্য, ইতালি ও জাপান। শিগগির যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শুক্রবার (৯ নভেম্বর) লিঙ্কনশায়ারের আরএএফ কনিংসবিতে সফরকালে অত্যাধুনিক এ যুদ্ধবিমান নির্মাণের প্রথম পর্ব উদ্বোধন করবেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।সফরের আগে ঋষি সুনাক বলেন, যুক্তরাজের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা এ সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এ কারণেই আমরা যৌথভাবে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।

জানা যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন নতুন ফাইটার জেট তৈরির জন্য তিন দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রকল্প ঘোষণা করতে প্রস্তুত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করাই যৌথ এ উদ্যোগের লক্ষ্য বলে দাবি করেন সুনাক।

বিবিসি বলছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওই যুদ্ধবিমানের নির্মাণকাজ ২০৩০ এর মাঝামাঝি সময়ে শেষ হবে। পরবর্তী প্রজন্মের এ ফাইটার জেট টাইফুন জেটকে প্রতিস্থাপন করবে। এছাড়া আশা করা হচ্ছে, নতুন এ টেম্পেস্ট জেট সর্বাধুনিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম হবে।

অত্যাধুনিক এ যুদ্ধবিমানের উন্নয়নকাজ এরই মধ্যেই শুরু হয়েছে। এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো, তীব্র গতি, উন্নত সেন্সর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে এমন একটি যুদ্ধবিমান তৈরি করা, যাতে পাইলট যখন চরম চাপের মধ্যে থাকবে, তখন বিমানটি যাতে নিজে নিজেই কাজ করতে পারে।
আরও জানা গেছে, প্রয়োজন হলে এ যুদ্ধবিমান পাইলটের ইনপুট ছাড়াই উড়ে যেতে পারবে। পাশাপাশি, এটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপেরও সক্ষমতা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের জটিল বিমান তৈরি করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আর তাই এ কাজে যুক্তরাজ্য আগ্রহী অংশীদারদের খোঁজ করছে।

বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের জন্য এ চুক্তি শুধু তাদের নিরাপত্তা নয়, অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হয়ে উঠবে। এছাড়া নতুন এ ফাইটার জেট তৈরির উদ্যোগ যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে ও দেশটির অস্ত্র রপ্তানির বাজার আরও প্রসারিত হবে।

বিবিসির মতে, ইতালির আগেই এ ধরনের বিমান নির্মাণে আগ্রহ দেখিয়েছিল যুক্তরাজ্য। তবে এখানে জাপানের অংশগ্রহণকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ চীনকে নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে যুক্তরাজ্য। আর এ উদ্যোগে জাপানের অংশীদারত্ব অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অবশ্য অন্য দেশগুলো চাইলে এখনই এ উদ্যোগে যোগ দিতে পারে। ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেন এরই মধ্যে তাদের নিজস্ব ডিজাইন নিয়ে একসঙ্গে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন বিমান তৈরি নিয়ে কাজ করছে।