রংপুরে ডাকাত দলের ছুরিকাঘাতে লাইব্রেরিয়ানের মৃত্যু

রংপুরের মিঠাপুকুরে ডাকাতি করার সময় হস্তাধস্তিতে ডাকাত দলের ছুরিঘাতে মোরশেদা বেগম বিউটি নামের এক কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ানের মৃত্যু সহ তার স্বামী মিজানুর রহমানকে গুরুতর জখম করেন।

বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার ১১নং বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান শালিকাদহ গ্রামে মোঃ মিজানুর রহমানের বাড়িতে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাহারা সহ তাদের তদন্ত চলছে এবং এ চাঞ্চল্যেকর ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানাযায়, ডাকাতির সময় মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম বিউটি ডাকাত দলকে বাধা প্রদান করার সময় ডাকতদলের ছুরিঘাতে স্বামী-স্ত্রী রক্তাত্ব জখম হয়। তাদের চিৎকার শুনে স্থানিয়রা এগিয়ে আসলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে আহত বিউটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মোরশেদা বিউটি বেগম একই এলাকার ছড়ান ডিগ্রী কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এবং তার স্বামী মিজানুর রহমান দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ আলিম মাদ্রাসার মাওলানা শিক্ষক। বিউটি-মিজানুর দম্পতির এক মেয়ে এবং এক পুত্রসন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছ।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ রাত ৪টার সময় মিজানুর রহমানের মা বাড়ির ভিতরে চিৎকার চেঁচামেচি করলে স্থানিয় লোকজন মিজানুর রহমান এর বাসায় প্রাচীর টপকে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পান রক্তাত্ব জখম অবস্থায় তাদের হাত-পা বাধাঁ রয়েছে এবং বাড়ির ভিতরে সব কিছু এলোমেলো অবস্থায় ছিলো। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবিও করেন তারা।

মিঠাপুকুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার- ফেরদৌস আলী চৌধুরী স্যার সহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। ডাকাতদের গ্রেফতার সহ লুন্ঠিত মালামাল এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম।