রাণীনগরে একটি ব্রীজের অভাবে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কুজাইল-আতাইকুলা নামক স্থানে ছোট যমুনার নদীর উপর দিয়ে চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা কয়েক গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীদের। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি এই এলাকার মানুষের ভাগ্যকে।

জানা গেছে উপজেলার কাশিমপুর ও মিরাট ইউনিয়নের কুজাইল ও আতাইকুলা নামক স্থানে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর উপর দিয়ে চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা এলাকার মানুষ ও শিক্ষার্থীদের। বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে কুজাইল, আতাইকুলা, সর্বরামপুর,কাশিমপুর, ডাঙ্গাপাড়া দূর্গাপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। আর বঁশের সাঁকোর পাশে আতাইকুলা জনকল্যাণ উচ্চবিদ্যালয় ও আতাইকুলা প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই দু’টি বিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন। ওই স্কুলগুলোর ছাত্র-ছাত্রীরা ও আশপাশের গ্রামগুলো থেকে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষাকালে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয় এই জনপদের কৃষক,শ্রমিক ,স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষকে। এমনকি বৃষ্টিপাত শুরু হলেই নদীর দু’পাড়ে কাদা-পানিতে একাকার হওয়ার কারণে সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে গুরুতর আহত হবার ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার।

স্থানীয় মো: আফজাল হোসেন, আকমল হোসেন , করিম সরদারসহ অনেকেই জানান, স্বাধীনতার ৪৬ বছরের আমাদের এই এলাকায় এখনও আধুনিকতার কোন ছায়াই লাগেনি। ডিজিটাল সময়ে এসেও আজ আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। আমরা জানি না কবে আমাদের এই দু:খ শেষ হবে। জনকল্যান উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো: রেজাইল ইসলাম খন্দকার ইসমাইল হোসেন, মোছা: রোকেয়া আক্তারসহ অনেকে জানায়, এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই পার হওয়া ছাড়া অন্য কোন বিকল্প পথ আর নেই। তাই প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করছি।

রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মো: সাইদুল মিঞা জানান,কুজাইল-আতাইকুলা নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য সকল প্রকারের কাগজপত্রদি উপর মহলে পাঠিয়েছি। শুধুমাত্র অনুমোদন ও বরাদ্দ পেলেই এখানে ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।