লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা

বছরের শেষে এসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সংক্রমণের সংখ্যা ছিল সাড়ে ৪০০-র কম। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) তা পৌঁছে গেছে ১,১০০-র দোরগোড়ায়। এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়ে হাজির করোনাভাইরাসের ওমিক্রন রূপ।

পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশযাত্রার ইতিহাস নেই এ রকম ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হয়েছেন ওমিক্রনে। আগামী দিনে যদি দৈনিক সংক্রমণ মাত্রাছাড়া হয়, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে, তা হলে কী ভাবে পরিস্থিতির সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে সতর্ক রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

এ বছর মে মাসে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় পশ্চিমবঙ্গে কোভিড সংক্রমণ ২০ হাজার ছাড়িয়েছিল। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকেই তা এক হাজারের নীচে নামে। তার পর বেশ কয়েক মাস ধরে কমতে কমতে ডিসেম্বরে ৫০০-র ঘরে নেমেছিল দৈনিক সংক্রমণ। গত দু’দিনে তা লাফিয়ে বেড়ে এক হাজার ছাড়াতেই চিন্তার ভাজ পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। এই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে ওমিক্রন।

তাদের ধারণা, স্থানীয় স্তরে ওমিক্রন ছড়াতে শুরু করলে তা তৃতীয় ঢেউকে ত্বরান্বিত করতে পারে।

এই পরিস্থিতিতেই বুধবার বৈঠকে বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা। তৃতীয় ঢেউ এলে কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে দৈনিক ২০ হাজার সংক্রমণের সাক্ষীও থেকেছে রাজ্য। তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তা ধরে নিয়েই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। দৈনিক ৩০ হাজার ব্যক্তি আক্রান্ত হলে কী ব্যবস্থা নিতে হবে তা নিয়েও চলেছে আলোচনা। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ এবং অক্সিজেন মজুত রাখার নির্দেশও হাসপাতালগুলিকে দেওয়া হয়েছে। মে-এপ্রিল মাস পর্যন্ত হাসপাতালগুলিকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।