লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারীসহ ৩জনকে আটকের অভিযোগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাদাতের বিরুদ্ধে শালিশের নামে ২ নারীসহ ৩ জনকে গ্রাম্য পুলিশ দিয়ে এক বাড়ীতে আটক করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) রাত ১১টা থেকে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদেরকে আটক করে রাখা হয়। তাদেরকে পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের জুলহাসের বাড়িতে আটক রাখা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন ওই এলাকার জাহেদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী। সঙ্গে প্রতিবেশী এক নারী রয়েছেন। আটককৃত জাহেদুল ইসলামের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীসহ আমাকে রবিবার রাত ১১টার দিকে শালীসের কথা বলে জুলহাস নামক এক ব্যক্তির বাড়ীতে চৌকিদার দিয়ে আটক রেখেছে চেয়ারম্যান। আমার ছেলে নূরনবীকে অন্য এক নারীর সঙ্গে প্রেম সংক্রান্ত সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবী করে আমাদেরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দু’দিন ধরে আটক রেখেছে।

তবে আটক নারী যুবক নূরনবীর সঙ্গে প্রেম সংঘটিত সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে কাল রাতে মারডাং ও অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই। সে আমার প্রতিবেশী দেবর। আমাকে দুর্নাম দিয়ে সংসার ভাঙ্গার চেস্টা চালানো হচ্ছে।

জুলহাস উপজেলার পশ্চিম হলদিবাড়ী গ্রামের এলাহী বকসের ছেলে ।স্থানীয়রা জানায়, পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য পুলিশ নূরমোহাম্মদ ও আমিনুর রহমান ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে জুলহাসের বাড়ীতে তাদেরকে আটক করে রেখেছে। এ প্রসঙ্গে পাটিকাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাদাত বলেন, আটক নারীর সঙ্গে নূরনবীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে।

এ অভিযোগে ওই নারীর স্বামী ও শশুর তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। ফলে আমি ওই নারীকে আটক করে তার পরিবারের লোকজনকে খবর দিয়েছি। তারা আসলে তাদের নিরাপত্তায় মেয়েটিক দেয়া হবে। হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।