শার্শায় নির্বাচনী সহিংসতায় দিশেহারা আনারস প্রার্থীর কর্মী সমর্থকেরা!

শার্শায় নির্বাচনী সহিংসতায় দিশেহারা আনারস প্রার্থীর লোকজন । গেল ২৮ শে নভেম্বর এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে, ওয়ার্ডে চলেছে হামলা মামলার মতো ঘটনা। বাগআঁচড়া সাতমাইল পিঁপড়া গাছি গ্রামের নৌকার সমার্থক কর্মীদের হাতে আনারস সমার্থক কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন অন্তত সাতজন।

নৌকা সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনী সাতমাইলের সোহাগ, পিঁপড়া গাছি গ্রামের রিপন ও মিঠুর হুমকি উপেক্ষা করে( ২৮শে নভেম্বর) রবিবার সকালে ভোট দিতে গেলে পিস্তল, হকিস্টিক, রামদা ও লোহার রড নিয়ে হামলা করেন আনারস সমর্থিত কর্মীদের উপর।

তারই সূত্র ধরে নির্বাচনের আগের দিন রাতে পিঁপড়া গাছি গ্রামের এর জাকিরের এক বিঘা কুল বাগান কেটে নষ্ট করে ফেলে নৌকা সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনী। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের আগের দিন রাতেই নির্বাচনী রেষারেষির জের ধরেই রাতের আধারে জাকিরের এক বিঘা কুল বাগান কেটে সাবাড় করেন নৌকার সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনী।

এ বিষয়ে আনারস প্রতীকের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সাংবাদিকদের বলেন, নৌকার চেয়ারম্যান সন্ত্রাসী বকুল তার লোকজন দিয়ে আমার সমর্থিত লোকজনের ওপর হামলা করে বাড়ী ঘরদোর ভাঙচুর করেছে অথচ তিনি বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার করছেন নৌকা সমর্থিত এক-দেড়শ কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এই কথা সম্পূর্ণ মিথ্যে বানোয়াট ভিত্তিহীন। তারা নিজেরা নিজেরা তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে বাড়িঘর ভাঙচুর করে আমাদেরকে দোষারোপ করছে। আমার লোকজন তার বাহিনীর হাতে মার খেয়ে এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। অথচ তিনি আমার নামে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

পিঁপড়া গাছি গ্রামের ইয়াকুব আলী বলেন, ভোটের আগের দিন আনুমানিক রাত ১টা ১৫ দিকে আমার বাড়িতে সোহাগ মিঠু রিপন এসে ডেকে তুলে বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে বলে কালকে ভোটের মাঠে যাবি না। তারপরও আমি ভোট দিতে যাই। বেল তলায় গেলে সোহাগসহ ১৪-১৫ জন ছেলে এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে মারধর করে। নবনির্বাচিত মহিলা মেম্বার আসমা আক্তার বলেন, আমার কর্মীরা আমারও আনারসের নির্বাচন করেছে বলে বকুল বাহিনীর লোকজন তাদের রাতে এসে হুমকি দিয়ে চলে যায়। তারপর সকালে আমার উৎসাহে তারা ভোট দিতে গেলে বকুলের সন্ত্রাসী বাহিনী তাদেরকে মারধর করে।

তিনি আরো বলেন, আমার কর্মীদের হাত পা ভেঙ্গে গেছে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। সাতমাইলের নবনির্বাচিত আসাদুল মেম্বার বলেন, বকুলের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার পিঁপড়া গাছি গ্রামের কর্মীদের উপর হামলা করেছে তাদের মধ্যে একজন মসজিদের মুয়াজ্জিন। তাদের মেরে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। তাদের একটাই অপরাধ তারা আনারস মার্কায় ভোট দিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।