সন্ত্রাসী হামলা: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ছেড়ে পালাবে অস্ট্রেলিয়া?

ইংল্যন্ডের মাটিতে চলছে আট জাতির টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এর মধ্যেই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ঘটল খোদ লন্ডন ব্রিজ এলাকায়! শেষ হয়ে গেল ৬টি প্রাণ। কয়েকদিন আগেই ম্যাঞ্চেস্টারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ সফর নিয়ে এই অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের নাক উঁচু ভাব সবসময়ই ছিল এখনও আছে। নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে ইংল্যান্ড তাও পুর্নাঙ্গ সফরে এসেছিল, কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এখনও টালবাহানা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ইংল্যান্ডে যখন একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে, তখন স্টিভেন স্মিথের দল কিন্তু সেখানেই অবস্থান করছে!

গত মাসেও বাংলাদেশে নিরাপত্তা পর্যববেক্ষক পাঠিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু গত বছরের শেষদিকে ইংল্যান্ডের সফর চলাকালীন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল অ্যালিস্টার কুক- জস বাটলারদের। কোনো ধরণের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তখনও নিরাপত্তা দেখতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একজন প্রতিনিধি এসেছিলেন। তিনি সন্তুষ্টচিত্তে ফিরেও গেছেন। এরপর দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড মিটিং শেষে অজি বোর্ড চেয়ারম্যান বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে নিশ্চিত করেছিলেন সফর বিষয়ে। তারওপরও এখনও সিরিজের অনেক কিছুই ঠিক করা বাকী।

লন্ডন হামলার পর এখন কী করবে অস্ট্রেলিয়া? নিরাপত্তার ভয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফেলে দেশে চলে যাবে? তাদের ওয়েবসাইটে কিন্তু তেমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। স্মিথ বাহিনী নিরাপদে আছে জানিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমরা এই ভয়াবহ, অমানবিক সন্ত্রাসী হামলায় মর্মহত। আমাদের সবাই নিরাপদে আছে। আমাদের নিরাপত্তা দল আইসিসি এবং স্থানীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। এখানে আমাদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। আমার নিরাপদ বোধ করছি। ”

এই চ্যম্পিয়নস ট্রফির আগে এক সাক্ষাতকারে ইংলিশ ওয়ানডে অধিনায়ক এউইন মরগ্যান বাংলাদেশে না আসার কারণ সম্পর্কে বলেছিলেন, “বাংলাদেশে গেলে বিশাল নিরাপত্তা সাজ সরঞ্জাম নিয়ে ঘুরতে হতো। ইংল্যান্ডে তো আমাকে এভাবে ঘুরতে হয়না। ”

তবে জানা গেছে, বাকী সাতটি দলের পাশাপাশি স্বাগতিক দলের জন্যও বিশাল নিরাত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা আসলে বিশ্বব্যাপী তাদের নৃশংসতা দেখাচ্ছে। লন্ডন কিংবা জার্মানি এদের হাত থেকে মুক্ত নয়।

তবে পাকিস্তানের ব্যাপার ভিন্ন। ওই দেশটি সন্ত্রাসী উৎপাদনকারী হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। কিন্তু বাংলাদেশের মত শান্তিকামী দেশ কেন এই সন্ত্রাসের অপবাদের শিকার হবে?