সাতক্ষীরার কলারোয়া আ.লীগের সভাপতি স্বপনের মেঝভাই মন্টু আর নেই

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের মেঝ ভাই ফারুক আহম্মেদ মন্টু ইন্তেকাল করেছেন।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না..রাজিউন)।
তার বয়স হয়েছিলো ৫৬ বছর।

মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী, ১ পুত্র, ১ মেয়ে, ৩ ভাই, ৪ বোনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন থ্যালাসামিয়া, কিডনিসহ নানান জটিল রোগ আক্রান্ত ছিলেন। গত কয়েকদিন অসুস্থ্যতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি চলে গেলেন ‘না ফেরার দেশে’।

উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের হুলহুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ মন্টু কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদের প্রয়াত মেম্বার গ্রামডাক্তার প্রয়াত আব্দুল করিমের মেঝ ছেলে।

বুধবার জোহরের নামাজের পর হুলহুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মরহুমের আত্মার মাগফিরাত ও জান্নাত কামনা করে জানাজাপূর্ব আলোচনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, কলারোয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আলহাজ্ব মো.আবু নসর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার জিয়াউর রহমান, চন্দনপুর কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাজী রবিউল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ আমজাদ হোসেন, যশোরের নতুনহাট কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন, কাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ এসএম শহীদুল আলম, পৌর আ.লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা মাওলানা জিয়াউল ইসলাম যুক্তিবাদী, কেরালকাতা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সম মোরমেদ আলী, ওই ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার আব্দুর রউফ ও আব্দুর রাজ্জাক, কলারোয়া পৌরসভার মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফে, আসলামুল আলম আসলাম, আফজাল হোসেন হাবিল, রবিউল হাসান, মোয়াজ্জেম হোসেন, বেনজির হোসেন হেলাল, শেখ সোহেল রানা, মাহফুজুর রহমান নিশান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, এসএম মনিরুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা রবিউল আলম মল্লিক রবি, জয়নগরের আজিজুর রহমান প্রমুখ।

সেসময় মরহুমের জ্যেষ্ঠ ভাই ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তার ভাইয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।

আলোচনাপর্ব পরিচালনা করেন ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান।

বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক নেতৃবন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ অসংখ্য মুসল্লি জানাজায় অংশ নেন।

জানাজা নামাজ পরিচালনা করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান।

পরে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়।

এদিকে, এলাকায় ‘মেঝভাই’ বলে পরিচিত ফারুক আহম্মেদ মন্টুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন নানান শ্রেণিপেশার ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন মহল।