কলারোয়া পৌর নির্বাচন

সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের নির্বাহী সদস্য মজনু চৌধুরীকে বহিষ্কারের সুপারিশ

কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সম্প্রতি ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নির্বাহী সদস্য সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনুকে দলকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

১৩ জানুয়ারী সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নিকট সুপারিশ করা হয়েছে।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ‘সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য কলারোয়ার সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু মেয়র নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিজের প্রার্থীতা বহাল রাখায় ১১ জানুয়ারী ২০২১ সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রের ধারা-৪৭ এর (৬)(৭)(৯)(১০)(১১) উপধারা মোতাবেক বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নিকট সুপারিশ করেছেন। উল্লেখ্য যে, গত ১০জানুয়ারী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন থাকলেও তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করা তাকে সংগঠনের বহিষ্কার করা হলো।’

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ বলেন, ‘হ্যা উনি বহিষ্কার হয়েছেন।’

মুঠোফোনে মজনু চৌধুরী বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোন চিঠি পাইনি। আমি দলের জন্য অনেক কিছু করেছি, মেয়র পদে মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদী ছিলাম। প্রান্তিক ও সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের ভালোবাসা ও চাপে বহিষ্কারের প্রস্তুতি নিয়েই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল।’

উল্লেখ্য, সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের সাবেক আহবায়ক। তিনি প্রায় ৩০বছর যাবত আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে সম্পৃক্ত। তিনি বিগত সময়ে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ছিলেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মজনু চৌধুরী সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির দায়িত্বে আছেন। সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নির্বাহী সদস্য পদ পান। দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া এই রাজনীতিক এবার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার প্রতীক মোবাইল ফোন।