সাত কলেজের প্রিন্সিপালদের ডেকেছেন ভিসি

সাত কলেজের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে কথা বলতে সংশ্লিষ্ট কলেজসমূহের প্রিন্সিপালদের বৈঠকে ডেকেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।

আগামী ২৮ এপ্রিল ভিসির কার্যালয়ে প্রিন্সিপালদের সঙ্গে এ বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

তিনি বলেন, ‘বৈঠকে উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতি ও সংকট নিরসনে বিস্তারিত আলোচনা হবে এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে। আশা করছি, সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অধিভুক্তির পর আমাদরে অধীনে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। যারা সরাসরি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের অধীনে এসেছে এমন দুই-তিন ব্যাচে কিছু সমস্যা আছে। আশা করছি সেটি সমাধান হয়ে যাবে।’

এর আগে নানান অনিয়মের অভিযোগ করে বার বার রাস্তায় নেমেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সমস্যার সমাধান না হওয়ায় পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে সড়ক অবরোধ করে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে ফের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। তাদের পেশ করা পাঁচ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলতেই থাকবে। তাদের দাবি, ঢাবি কর্তৃপক্ষ বার বার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সংকট ক্রমেই বাড়ছে।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটি মুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ একটি বর্ষের সকল বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ করতে হবে। তারা উল্লেখ করেছেন- ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ২০১৬ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল ২০১৮ সালে প্রকাশিত হলেও সব বর্ষে পাশ থাকা সত্ত্বেও এখনো অনেকের সিজিপিএ আসেনি। তাই দ্রুত সিজিপিএ সমন্বয় করতে হবে। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ২০১৭ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের লিখিত পরীক্ষা ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই শেষ হলেও এখনো সকল বিভাগের ফলাফল প্রকাশিত হয়নি।

২। ডিগ্রি, অনার্স, মাস্টার্স সকল বর্ষের ফলাফল গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতার পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন- যেমন ইডেনের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের ৩০০ জন শিক্ষার্থী প্রথমবর্ষে শুধু বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে ফেল করার পুনরায় সবার খাতা নিরীক্ষনের আবেদন করেন। পরবর্তীতে প্রকাশিত ফলাফলে ৩/৪ জন ছাড়া সবাই পাশ করে।

৩। সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন চাই। স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন না থাকায় সাত কলেজের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে। যেমন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ২০১৬ সালের মাস্টার্স এবং ডিগ্রি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ২০১৭ সালের পরীক্ষা ২০১৯ সালে এসেও এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি।

৪। প্রতিমাসে প্রত্যেকটা বিভাগে প্রতি কলেজে দুইদিন করে মোট ১৪ দিন ঢাবির শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হবে। এটা যদি ঢাবির পক্ষে সম্ভব না হয়, তাহলে সাত কলেজের প্রশ্ন প্রণয়ন এবং খাতা মূল্যায়নের দায়িত্ব অবশ্যই সাত কলেজের শিক্ষকদের দিতে হবে।

৫। সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে একাডেমিক ক্যালেণ্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে।