সিলেটে কাল বৈশাখীতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ক্ষয় ক্ষতি

সিলেটে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) শবে বরাতের গভীর রাত ২টা থেকে শুরু হয় আকাশে কাল বৈশাখীর গর্জন। রাত ৩টায় প্রচন্ড বৃষ্টি ঘূনী ঝড়ের শুরু হয় ৩ ঘন্টার ব্যবধানে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। বৃষ্টির শুরুতে সিলেট নগর তথা বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ চলে গেলে সিলেট শহরের কিছু অংশে বিদ্যুৎ চালু হলেও উপজেলা গুলোতে ২ দিনে বিদ্যুৎ সচল করতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৩০ মার্চ) সিলেট শহরের ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসার কারণে শহরের বাসা বাড়িতে মানুষ পানি সংকটে ভূগতে হয়েছে। বুধবার সিলেটের ৮০ % মানুষ পবিত্র শবে বরাতের নফল রোজা থাকার ফলে বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিল বিধায় এ কষ্ট পোহাতে হয় বাসা বাড়িতে থাকা রোজাধারদের। বছরের প্রথম দিন কাল বৈশাখীর ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। ঘুর্নী ঝড়ে কয়েক শতাধিক কাচা, আধাকাচা, পাকা,ঘরবাড়ি ও গাছ পালা ভেঙ্গে গেছে বলে জানা গেছে। কিন্তু শিলা বৃষ্টিতে আম ও মৌসুমী ফলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে ফলের মুল মুকল পড়ে গেছে। হঠাৎ বৃষ্টির ফলে বোরো ধানের লাভ হয়েছে বলে কৃষকরা জানান। অন্য দিকে গত কয়েক দিন ধরে সিলেটে খাসিয়া পান অতিরিক্ত দাম বেড়ে যায় মৌসুমি বৃষ্টি না পাওয়ার কারণে। নিয়মিত পানের কুঁড়ি দিতে পারে নি পানি সংকটের কারণে। বর্তমানে বৃষ্টির পানি পেতেই খাসিয়া পানের কুঁড়ি দিতে শুরু করেছে।

জৈন্তাপুরের খাসিয়া পুঞ্জিতে কাল বৈশাখী ঝড়ে একটি পান বাগানে ব্যাপক ক্ষয়- ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ সুরমা ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে কাল বৈশাখী ঝড়ের বজ্রপাতে গোলাপগঞ্জ ফুলবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া আনোয়ার হোসেনের গ্যাসের রাইজারে আগুন লেগে গেলে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ঘটনাস্থল পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তবে বিভিন্ন উপজেলা গুলো পল্লী বিদ্যুতের খাম্বা ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়- ক্ষতির খবর পাওয়া যায়।