সুইডেনে নির্বাচিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

সুইডেনে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করলেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। মূলত তার জোটের অংশীদার গ্রিন পার্টি জোট সরকার ছেড়ে দেওয়ায় এবং সংসদে বাজেট পাসে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেন। তবে তিনি এককভাবে সরকার গঠনের চেষ্টা করবেন বলেও জানান।

সুইডেনে প্রথমবারের মতো নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর, বুধবার বিশ্বব্যাপী আলোচনায় উঠে আসেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। এর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই নাটকীয়ভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।

পার্লামেন্টে নিজের পদত্যাগের কারণও ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, তার জোটের অংশীদার গ্রিন পার্টি জোট সরকার ছেড়ে দেওয়ায় এবং সংসদে তিনি বাজেট পাসে ব্যর্থ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এক দলীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।

ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন বলেন, আমি পদত্যাগ করছি কারণ গ্রিন পার্টি সংখ্যালঘু জোট সরকার ছেড়ে দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান জানাই। আমি এমন কোনো সরকারের নেতৃত্ব দিতে চাই না, কিছুদিন পর যার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এর আগে পার্লামেন্ট অধিবেশনের শেষ মুহূর্তে অ্যান্ডারসন পর্যাপ্ত সমর্থন নিশ্চিত করেন। তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেনের স্থলাভিষিক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সংসদে ৩৪৯টি আসনের মধ্য পার্লামেন্টের ১১৭ জন সদস্য অ্যান্ডারসনের পক্ষে ভোট দেন। ১৭৪ জন তার বিপক্ষে ভোট দেন। ভোটদানে অনুপস্থিত থাকেন একজন। ৫৭ জন ভোটদানে বিরত থাকেন।

সুইডেনের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন প্রয়োজন হয় না। প্রার্থীর বিরোধিতাকারীরা ১৭৫ জনের বেশি না হলেই চলে। এ মাসে ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের নেতা নির্বাচিত হন ৫৪ বছর বয়সী এই নেত্রী।

গেল ১০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন পদত্যাগ করেন। ২০১৪ সাল থেকে গ্রিন পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে সংখ্যালঘু জোটের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তিনি।