সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ব্রীজের ব্লক চুরি’উপসহকারী প্রকৌশলীর ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় নেত্রকোনা সওজের অধীনে নির্মিত ব্রীজের দুপাশে স্থাপনকৃত অনুমান ৫ সহস্রাধিক ব্লক উঠিয়ে চুরি করে বিক্রয় করেছে স্থানীয় একটি চক্র। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম।

জানাগেছে, সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামলাবাজ ও ফাতেমানগর গ্রামের সংলগ্ন শয়তানখালের উপর শয়তানখালী নামে একটি ব্রীজ নির্মাণ করেন নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। সওজের এ ব্রীজের ব্যবহৃত ব্লক চুরি করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছে একটি চক্র। ব্রীজের নিকটে নতুনপাড়া মহল্লার বাচ্চুমিয়ার বাসার ভেতরে ব্লক নিয়ে ডাম্পিং করার সময় বিষয়টি প্রকাশ পায়। আশপাশের বিভিন্ন স্থানে ও রাস্তায় ব্রীজের ব্লক ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

প্যালাসাইটিং থেকে ব্লক সরানোর কারণে ব্রীজের উইনওয়ালে বড় ধরনের একাধিক ফাটল ধরেছে। ভেঙ্গে যাচ্ছে রাস্তা। বর্তমানে হুমকির মধ্যে রয়েছে ব্রীজটি। বিষয়টি নেত্রকোনা (সওজের) নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়। এ খবর পেয়ে গত বুধবার বিকালে একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে বলেন অনুমান ৫ হাজার ব্লক চুরি হয়েছে।

পর দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। অনুমান ৫ হাজার ব্লক চুরি হয়েছে এবং ব্রীজ সংলগ্ন ফাতেমা নগর গ্রামের সাকু, চাঁদনূর ও কবির এসব ব্লক চুরি করেছে বলে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম। কিন্তু সাংবাদিকদের সাথে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে ব্রীজের নিকটে গিয়ে দেখা যায় চুরি করে নেয়া ব্লকের ৫০/৬০ টি ব্লক ফেরত নিয়ে আসছে চোরেরা।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন ৫০০ ব্লক চুরি হয়েছে। পরে বলেন, তিনি নিজে ব্রীজের নীচে গিয়ে দেখেননি এলাকার লোকজনের কাছে শুনেছেন ২ থেকে ৩০০ ব্লক চুরি হয়েছে। আবার ইউপি সদস্যের সাথে বলেছেন অনুমান ৫ হাজার ব্লক চুরি হয়েছে। চোরদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা চুরি করে নিয়েছিল তারা ব্লক ফেরত নিয়ে আসছে। সামাজিক কারনে মাফ করা যায়।

নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ সালেহিন বলেন, এ বিষয়ে অবশ্যই থানায় অভিযোগ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।