সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা, চালক আদালতে

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি শহীদ মিয়াকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে।

সোমবার (০৪ জানুয়ারি) সকালে দিরাই থানা থেকে তাকে আদালতে আনা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে শনিবার (২ জানুয়ারি) এ ঘটনায় গ্রেফতার চালক শহীদ মিয়াকে ঢাকায় নেওয়া হয় বলে জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন মালাকার।

তিনি বলেন, বাসচালক শহীদ মিয়াকে গ্রেফতারের পর প্রথমে সিআইডি সুনামগঞ্জ কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এরপর তাকে ঢাকায় আনার পর আবার তাকে ফিরিয়ে নিয়ে দিরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়। শনিবার ভোর ৬টায় ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এসে নামার সময় পুরাতন বাস স্টেশন থেকে সিআইডি পুলিশ তাকে আটক করে। এ ঘটনায় ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে রশিদ আহমদ নামের হেলপারকে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ছাতকের বুরাইরগাঁও থেকে আটক করে বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, চালক শহীদ মিয়াকে সিআইডি পুলিশ নানা কৌশলে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এনে ভোর ৬টায় সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাস স্টেশন থেকে আটক করেছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এসে যাত্রীবাহী বাসে একা হয়ে যান ওই ছাত্রী। অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় চালক ও হেলপার কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ বাসটি জব্দ করে।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই ছাত্রী বর্তমানে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।