সুন্দরবনের পর্যটনের ইতিহাসে যুক্ত হলো নতুন নাম হানি ট্যুরিজম

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ও সামাজিক উদ্যোগে সাতক্ষীরা রেঞ্জে প্রথমপ্রতিষ্ঠিত হলো ‘সুন্দরবন হানি ট্যুরিজম’। বুধবার দুপুরে এর আনুষ্ঠানিকউদ্বোধন করেন খুলনা সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড.আবু নাসের মোহসিন।

বুড়িগোয়ালিনীতে সুন্দরবনের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির মিলনায়তনে মৌমাছি ও মধু, মৌয়াল, চাষী, গবেষক, ও ভোক্তার জাতীয় জোট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আল ওয়ান মধু জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতাসৈয়দ মোহাম্মদ মঈনুল আনোয়ার ও মধু গবেষক আকমুল হোসেন মাহমুদ রাজশাহী স্থানীয় ট্যুর অ্যাসোসিয়েশনের আনিসুর রহমান প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আবু নাসের মোহসিন বলেন, সুন্দরবনকে বিকশিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে বন বিভাগ। যার মধ্যে সুন্দরবন হানি ট্যুরিজম অন্যতম গতবছর ২৭ শে নভেম্বর বিশ্ব ট্যুরিজম দিবসে খুলনা জেলা প্রশাসকের সভায় সুন্দরবনে হানি ট্যুরিজম করার পরিকল্পনা গ্রহণ করি।

প্রতিবছর মধু আহরণের সময় নির্ধারণ করা হয় পহেলা ১ এপ্রিল থেকে শুরু হলেও চলতি বছরে মধু সংগ্রহ শুরু হয়েছে ১৫ই মার্চ থেকে এবং আগামীতে এই তারিখটাই নির্ধারণ করা হবে। যেখানে পূর্ববর্তী মৌয়ালরা দুই মাসে মধু সংগ্রহ করতেন সেখানে এখন আরও ১৫ দিন বেশি সময় পাচ্ছে মধু সংগ্রহ। এটা যেহেতু পর্যটকদের মৌসুম সেক্ষেত্রে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এ সময় কিছু উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের যত মধু গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ছাত্র ছাত্রীদের ট্যুরিজম এর সাথে সংযুক্ত করতে চাই।

পশ্চিম সুন্দরবনের সরকারি বন সংরক্ষক এম এ হাসান বলেন হানি ট্যুরিজম কে আমরা স্বাগত জানাই তবে যেহেতু সুন্দরবনে বাঘের এলাকা বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রশিক্ষপ্রাপ্ত ট্যুর গাইড সহযোগিতা নিয়ে দলবদ্ধভাবে ট্যুর পরিচালনা করতে হবে। ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তার স্বার্থে বন বিভাগ
সদাসর্বদাই প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন টেংরাখালি তে আমরা মধুর একটি ছয় কোনা ঘর নির্মাণ করেছি। সেটিই হবে মধু জাদুঘর।