হাজারো ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে জন্ম উৎসব পালিত হলো জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলমের

১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ফুলে ফুলে, বই,কেক আর নানা উপহার ও ভালোবাসায় ভরে উঠে পুরান ঢাকার জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম এর অফিসে। ৫ থেকে ৬ জন মিলে ৫৬ পাউন্ড এর বড় কেক নিয়ে প্রবেশ করেন জাগ্রত ব্যাবসায়ীরা।দিনটি ছিল সকলের প্রিয় জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম এর ৫৬ তম জন্মদিন এর উৎসব। বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবি নেতা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক প্রথমে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় তিনি বলেন আমার মা আইসিসিইউতে। তাঁর জন্য সবাই দোয়া করবেন। এমন অবস্থার মধ্যে আমি এসেছি একজন দেশসেরা মানবিক মানুষ কে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাতে।তখন সবাই তাত্ক্ষণিকভাবে মানিক ভাই এর মায়ের জন্য দোয়া করা হয় এবং তাঁর সুস্থতা কামনা করা হয়। এরপর বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক এবং ব্যাবসায়ী সংগঠন এর পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচছা জানান। কেউ কেউ বইসহ অনন্য উপহার তুলে দেন।আবার কেউ কেউ শিহাব রিফাত আলম কে নিয়ে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন।মুহূর্তে অনুষ্ঠানটি জমকালো আনন্দমুখর হয়ে উঠে।প্রফেসর মু.নজরুল ইসলাম তামিজী এবং সর্বোচ্চ রক্তদাতা জাভেদ নাছিম দু’জন ইংরেজিতে বক্তব্য দিয়ে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছেন।

দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ড.নাঈমা এবং ড.শরীফ সাকী এবং ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ মমতাজ রহমান এর উপস্থিতি ও তাঁদের বক্তব্য উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেছে। কবি তৌহিদুল ইসলাম কনক এর অসাধারণ ছড়া সবাইকে আনন্দ উৎসবে ভাসিয়ে দিয়েছেন। কবি মুজিবুর রহমান বকুলের স্বরচিত গান অনুষ্ঠানকে আলোকিত করেছে।কবি রোকেয়া মুন্নী, ইলোরা সোমা,সাহানা সুলতানা আর রিমির বক্তব্য ও কবিতা আর গান সবার হৃদয় ছুঁয়ে যাই। গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকা এর সম্পাদক ও প্রকাশক কবি অশোক ধর,বাকশাল এর সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম কাইয়ুম এবং এনডিপি’র মহাসচিব মো.মঞ্জুর হোসেন ঈসা এবং জাসদ(রব)এর সাংগঠনিক সম্পাদক নিক্সন এর উপস্থিতি এবং তাদের বক্তব্য সকলের মনোযোগ আকর্ষন করে। বিশেষ করে যুব সমাজের প্রিয়মুখ রাকিব ও তার দলের তরুণদের শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে অনুষ্ঠানটি।রাকিব এর উপহারও সবার দৃষ্টিকেড়ে নেয়। জাগ্রত ব্যাবসায়ীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।তাদের মধ্যে ছিলেন নজরুল ইসলাম, সোহেল খলিফা,সেলিম, সোহাগ, বিপ্লবী আনোয়ার, জাগ্রত হিরো মাইনুদ্দীন,রিপন,রিমিসহ শতশত জাগ্রত বন্ধুরা।ওপার বাংলা থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে এসেছিলেন রুপা।

এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক প্রিয়মুখ এর উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানে জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম তিনবার কাটেন।তিনি বলেন,আমাকে ভালোবেসে সারা পৃথিবীর অনেক মানুষ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। ওপার বাংলার অনেকে আমাকে নিয়ে কবিতা ও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।আর আজ যারা সরাসরি এসে আমাকে ভালোবাসায় জড়ালেন তাদেরকে আমার ও আমার পরিবারের সকলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি আরও বলেন, আমাকে মানুষ ভালোবাসে কেন আমি জানিনা। আমি এমপি,মন্ত্রী না।তবে আমি মানুষ কে সন্মান দিতে জানি।আমি সবাইকে সন্মান ও মর্যাদা এবং শ্রদ্ধা জানাতে লজ্জা পায় না বরং গর্বিত হই।তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রত্যাশা করেন। দেখতে দেখতে রাত ১১ টা বেজে যায় তারপরও অনুষ্ঠান শেষ হতে চায় না।তখন কেউ কেউ এসে ফুলেল শুভেচছা জানান। যারা সভার,মিরপুর থেকে এসেছেন তাদের সবাইকে গাড়িতে তাদের বাড়িতে পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করেন।প্রায় একটানা ৫ ঘন্টা দাঁড়িয়ে সবার শুভেচ্ছা গ্রহণ করেছেন তারপরও কোন ক্লান্তি৷ চোখে মুখে ছিলো না।যারা যাত্রাবাড়ি,জুরাইন যাবে তাদের সবাইকে রাত ১২ টায় নিয়ে তাদের বাড়িতে নিজে গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে দেন।রাত ১টায় বাসায় ফিরে ফেইসবুকে সকলের ভালোবাসার জবাব দিতে দিতে ভোর হয়ে গেছে তা তিনি জেনেও কারো প্রতি বিরক্ত না হয়ে সুন্দর করে জবাব দিয়েছেন আর এই কারনে তিঁনি জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম।