ইউপি নির্বাচনী সহিংসতা: সাতক্ষীরায় মাথা ফাঁটলো নৌকার প্রার্থীর, আহত- ৯

আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই প্রথম হামলায় কয়েকজন গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে।

ওই ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী ও তার কয়েকজন কর্মী প্রতিপক্ষের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের কয়েকজনের মাথা ফেঁটে গেছে। আহতদের মধ্যে ৭জনকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২ জনকে সাতক্ষীরায় রেফার করা হয়েছে।

রবিবার রাতে উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের উত্তরপাড়া মসজিদ এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতরা হলেন মোছলেউদ্দীন গাইনের পুত্র নৌকার প্রার্থী ভুট্টোলাল গাইন (৫৫), কিতাবুদ্দীন গাজীর পুত্র সিরাজুল গাজী (৪৫) ও ফারুক গাজী (৫৭), শাহজাহান গাজীর স্ত্রী আনেছা (৫৫), রেজাউল ইসলামের পুত্র শহীদ হোসেন (২৫), আজিজুল সর্দারের পুত্র মন্টু (২৫), আব্দুল আলীর পুত্র আব্দুল বারিক (৫০), গোলাম মোস্তফা গাইনের পুত্র হাবিবুর রহমান (২৬) ও তবিবর গাজীর স্ত্রী বৃষ্টি (১৮)।
তাদের সবার বাড়ি বলে বলে জানা গেছে।

এদের মধ্যে সিরাজুল গাজী ও আনেছাকে সাতক্ষীরায় রেফার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরের দিকে বোয়ালিয়ায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেনের মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে নৌকার কর্মীরা ভাংচুর করে। এ ঘটনা জানাজানির হলে একপর্যায়ে বিকালে মারুফ হোসেনের কর্মীরা পাল্টা কাকডাঙ্গা মোড়ে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় বন্ধ করে দেয়।
এদিকে, রাত ৮টার দিকে বোয়ালিয়া উত্তর পাড়ায় আ.লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল ও নৌকার কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। খবর পেয়ে
নৌকার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ভুট্টোলাল গাইন ঘটনাস্থলে গেলে তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেসময় দুই বিদ্রোহী প্রার্থী ও সমর্থকদের হাতে নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা রক্তাক্ত আহত হয় বলে স্থানীয় কয়েকজন দাবি করেন। এছাড়া উভয়পক্ষের আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ওই ঘটনায় চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও দলটির ইউনিয়ন সভাপতি ভুট্টোলাল গাইনসহ তার ১০/১২ জন কর্মী সমর্থককে গুরুতর আহতাবস্থায় কলারোয়া হাসপাতালে আনা হয়।

কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম জানান, ‘দশজনের মতো আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। মহিলাসহ দুইজনকে রেফার করে সাতক্ষীরায় প্রেরণ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সাতজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খাইরুল কবীর জানান, ‘বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনভাবেই নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্ন ঘটাতে দেয়া হবে না।’