আমার মেয়ে কুরআনের ছাত্রী : মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বলেন, আমার সাত বছর বয়সী মেয়ে হুমায়রা বিন মোর্ত্তজা কুরআনের ছাত্রী। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে ‘জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০১৮’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আহলুল হুফফাজ ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।

তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনের মহতি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে আমি আনন্দিত ও গর্বিতবোধ করছি।

মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বলেন, জীবনে অনেক অনুষ্ঠানে গিয়েছি। কিন্তু হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীতে এসে খুবই ভালো লাগছে।

তিনি আয়োজকদের প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরও বেশি বেশি পুরস্কার জিতুক, সেই শুভকামনা রইল ও সাথে সাথে সবাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্যও দোয়া করবেন।

মাশরাফীর ৭ বছর বয়সী মেয়েও কুরআন শিখছে- এ কথা জানিয়ে তিনি তার (মেয়ে) জন্যও দোয়া চান।

হল বরাদ্দের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, রংপুর রাইডার্সের মালিক বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় ভালো কাজের সাথে আছে। তাদেরকে অনুষ্ঠানের জন্য এই হলটি (নবরাত্রি) বরাদ্দের জন্য বললে তারা রাজি হয়ে যায়। ভবিষ্যতেও আপনাদের এরকম উদ্যোগের সঙ্গে আমি আছি, থাকার চেষ্টা করবো।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর ড. আবুল হোসেন মো. সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাণী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ বশীর ও ইনফিনিটি মেগা মলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ জুনায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

আমন্ত্রিত অতিথিরা গত বছরের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এই হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এ সময় ৩০ পারা গ্রুপের বিজয়ী হিসেবে মুস্তাকিম বিল্লাহ, সান আনির জামান, ওমর ফারুক, সাফওয়ান ও রুহুল আমিন এবং ১০ পারা গ্রুপের সিফাতুল্লাহ মোজাহিদ, ফাহমিদুল হাসান, মো. নাঈম, ইসমাঈল সাবিত ও মো. হুজাইফা বিজয়ী হিসেবে অতিথিদের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবীবুল্লাহ মুহাম্মদ ইকবাল, খাদিমুল হুফফাজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা ইলিয়াস, ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি ইকবাল কবীর মোহন, বায়তুল মুকাররমের পেশ ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী, ড. মনজুরে ইলাহি, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা মিজানুর রহমান ও মুহিউদ্দিন কাসেম প্রমুখ উলামাগণ উপস্থিত ছিলেন।